Space War: রুশ মিসাইল ধংস করল পুরনো গুপ্তচর স্যাটেলাইট, উদ্বেগে ওয়াশিংটন

News Desk: নিজেরই অকেজো স্পাই স্যাটেলাইট মিসাইল ছুঁড়ে ধংস করেছে রাশিয়া। সেই স্যাটেলাইট ধ্বংসাবশেষ মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ায় প্রবল উদ্বেগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে ওয়াশিংটন জানায়, রাশিয়ার…

Russia's anti satellite missile test created controversy

News Desk: নিজেরই অকেজো স্পাই স্যাটেলাইট মিসাইল ছুঁড়ে ধংস করেছে রাশিয়া। সেই স্যাটেলাইট ধ্বংসাবশেষ মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ায় প্রবল উদ্বেগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে ওয়াশিংটন জানায়, রাশিয়ার অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল নিক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত ক্রুদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে।

বিবিসি জানাচ্ছে, রাশিয়ার এই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলের পরীক্ষাকে বিপজ্জনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

   

মিসাইলের ছুঁড়ে রাশিয়া নিজস্ব একটি স্যাটেলাইটকে উড়িয়ে দেওয়ায় সেখান থেকে তৈরি বর্জ্যের কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের ক্রুরা স্টেশনের ভেতরে ক্যাপসুলে অবস্থান নিয়েছেন।

Russia's anti satellite missile test created controversy

তবে ক্রেমলিন থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানাচ্ছে,ধংস করা অকেজো স্যাটেলাইটের নাম কসমস – ১৪০৮।

বিবিসি জানাচ্ছে, এই রুশ স্যাটেলাইট আসলে মহাকাশে গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছিল।১৯৮২ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ওজন এক টনের মতো।অনেক আগেই এই স্যাটেলাইট অকেজো হয়ে যায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে,রাশিয়ার এই অ্যান্টিগুয়া মিসাইলের আঘাতের ভেঙে যাওয়া স্যাটেলাইট কমপক্ষে ১৫০০ টুকরো বর্জ্য তৈরি করেছে।এছাড়া আরো হাজার হাজার ক্ষুদ্র বর্জ্য তৈরি করেছে যার কারণে মহাকাশে সব দেশের স্বার্থকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

তবে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র রাসকোসমস্ এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তারা জানায়,রাশিয়ার স্যাটেলাইট ধ্বংস হবার পর যেসব টুকরো বর্জ্য তৈরি হয়েছে সেগুলো দ্বারা অন্য কিছুর ক্ষতি হয়নি।

<

p style=”text-align: justify;”>বিবিসি জানাচ্ছে, ভূ পৃষ্ঠ থেকে স্যাটেলাইট ধ্বংস করার ক্ষমতা বেশ কিছু দেশের রয়েছে। এর মধ্যে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন এবং ভারত অন্যতম। এই ধরণের মিসাইল ছোঁড়া করা খুবই বিরল। এতে মহাকাশে মারাত্মক দূষণ হয়। ২০০৭ সালে চিন যখন তাদের একটি অকেজো আবহাওয়া স্যাটেলাইট ধ্বংস করেছিল তখন দু হাজারের বেশি টুকরো ভেসে এসেছিল।