ওপেন টি বায়োস্কোপের (open tea bioscope) সিক্যুয়েল বানানোর জন্য অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে আবদার করলেন ঋদ্ধি সেন (Riddhi sen)। তিনি জমা দিলেন কাস্টিংয়ের জন্য ছবি।
বলছি অনিন্দ্য দা, ওপেন টি বায়োস্কোপের আট বছর হলো , তাহলে একটা sequel হোক ? নাম হতে পারে তোমার ওপেন টি বায়োস্কোপের ভাবা প্রথম নামটা , কারণ আমাদের পাঁচজনের ঠিকানা এখনও তোমার রাখা সেই প্রথম নামটাতে, আমরা এখনও ওখানেই থাকি,“বন্ধু বাইলেনে”। Casting’এর জন্য ছবি জমা দিলাম, আট বছর পর।’
সালটা ২০১৫, তখন বাংলা সিনেমা একটু অন্যরকম মোড় নেওয়া শুরু করেছে। বাঙালি তখন মারপিট, আর গোটা দুনিয়ার সাথে লড়ে নায়িকাকে পাওয়ার যে লাড়াইটা নায়ক করতো, সেটার থেকে একটু সরে কিছু বাস্তব ঘটনাার দিকে মনোনিবেশ করতে চেয়েছিল। আর সাধারণ বাঙালির এই চাওয়াটাকে প্রশ্রয় দিয়ে একগুচ্ছ নতুন মুখ নিয়ে হাজির হয় ওপেন টি বায়োস্কোপ। সিনেমাতে দেখা গেছে ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখার্জি, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ধী মজুমদার, রাজর্ষি নাগ, ঋত্বিক চক্রবর্তী, এবং সাথে কিছু আরও ভালো অভিনেতা-অভিনেত্রী। সিনেমাতে তেমন কিছু নেই,
কিন্তু এমন কিছু আছে যা সিনেমা দেখা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও মনে লেগে থাকবে। পাড়ার কিছু বখাটে ছেলের সাথে অন্য পাড়া থেকে এসে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছে এক চরিত্র, কীভাবে এই বখাটে ছেলেগুলো লড়াই করে নিজেদের সম্মান ফিরিয়ে আনছে, আর প্রেম। সব মিলিয়ে একটা ঝালমুড়ি বললে ভুল হবে না। সিনেমাতে সব কিছু সমপরিমান দেওয়া হয়েছে। প্রেম, বন্ধুত্ব, লড়াই ইত্যাদি। যদি আপনারও পুরনো বন্ধুদের কথা মনে পড়ে, যদি আপনিও কিশোর বয়সে কারও চোখের মায়াতে জড়িয়েছিলেন, তাহলে সিনেমাটা আপনার জন্য।
স্মৃতির যে অধ্যায়টি আমাদের কাছে সবচেয়ে স্মরণীয় এবং আনন্দময় তা হলো শৈশব আর স্কুল জীবন। যা কিনা বয়স না বাড়লে বোঝা যায় না। ছাত্র জীবনের বিভিন্ন সময় বয়স অনুযায়ী আমরা মিস করি। দিন যত যায় কেটে যাওয়া মুহুর্তগুলো ততোই যেন মনে পড়তে থাকে। এবং এই সব ঘটনাগুলোকে তাজা করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ওপেন টি বায়স্কোপ। “ওপেন টি বায়স্কোপ” নস্টালজিক করে দেওয়া এই ছবির সিক্যুয়েল বানানোর আর্জি জানিয়েছেন ঋদ্ধি সেন।