লন্ডন: বিস্তর বিতর্ক ও বহু জট কাটিয়ে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’। মুক্তি পেলেও স্বস্তি নেই৷ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। প্রথমে পঞ্জাবে এই ছবির প্রদর্শন নিয়ে বিক্ষোভ হয়৷ সেই আঁচ ছড়িয়েছে সুদূর ইংলন্ডের প্রেক্ষাগৃহেও৷ রবিবার রাতে হ্যারো ভ্যু সিনেমা হলে ‘ইমার্জেন্সি’ চলার সময় ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়ে হলে ঢুকে পড়ে খলিস্তানিরা। তাদের হস্তক্ষেপেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ছবির প্রদর্শন৷ প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত দর্শকের সঙ্গেও বাগ্বিতণ্ডায় শুরু হয়৷ তার পর থেকেই কঙ্গনার ছবি নিয়ে ইংলন্ডে প্রতিবাদ চলছে৷ এর পরেও চুব কেন ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও নারীবাদীরা? প্রশ্ন তুলেছেন খোদ ছবির পরিচালক তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা।
আচমকা খলিস্তানিজের আগমন Protests against Kangana Ranaut’s Emergency
১৮ জানুয়ারি লন্ডনের প্রেক্ষাগৃহে ছবি শুরু হওয়ার ৪০ মিনিটের মাথায় আচমকাই মুখোশ পরা কয়েকজন হলের মধ্যে ঝড়ের বেগে ঢুকে পড়েন৷ ভারতবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। দর্শকদের হাতে শিখ দাঙ্গার লিফলেট বিলি করে ভারত বিরোধী স্লোগান তোলে৷ চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘ভারত নিপাত যাক।’
লন্ডনে ‘ইমার্জেন্সি’র প্রদর্শন বন্ধ করা নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ বব ব্ল্যাকম্যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় খলিস্তানিদের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। ব্রিটিশ রাজনীতিকের সেই পোস্ট দেখেই কঙ্গনার প্রশ্ন, ভারতের রাজনীতিকরা কেন চুপ? অভিনেত্রী বলেন, “আমার মৌলিক অধিকারের দাবিতে ব্রিটিশ মন্ত্রী সরব হয়েছেন। কিন্তু ভারতের রাজনীতিক ও নারীবাদীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে পিন পতনের নীরবতা।”
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র যা বললেন
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল এক সংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘আমরা বেশ কিছু রিপোর্ট পেয়েছি, যেখানে ‘ইমার্জেন্সি’ চলচ্চিত্রটি, যা বিভিন্ন সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছিল, সেটি কীভাবে বাধার মুখে পড়েছে। আমরা নিয়মিতভাবে ব্রিটিশ সরকারের কাছে ভারতবিরোধী উগ্রপন্থীদের সহিংস প্রতিবাদ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছি। বাকস্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সিলেকটিভভাবে প্রয়োগ করা যাবে না, এবং যারা এসব বাধা সৃষ্টি করছে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে৷’’