বাংলা সিনেমার ঐতিহ্য আজকের নয় (Prosenjit)। এই বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রমথেশ বড়ুয়া থেকে শুরু করে উত্তমকুমার এই ঐতিহ্য কে ধরে রেখেছেন আরও অনেক গুণী অভিনেতা এবং কলাকুশলী। একটা সময় ছিল মানুষ সপ্তাহান্তে সিনেমা হলে এসে সিনেমা উপভোগ করতেন। প্রযুক্তির বাড়বাড়ন্ত এবং সময়ের অভাবে আজ সিনেমা হল গুলিতে সেই ভিড় আর দেখা যায়না।
এই ১০ বছরে বাংলার বুকে প্রায় ৭৫০ সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। এবার এই অচলাবস্থা কাটাতে বাংলা সিনেমার সুপার ষ্টার অভিনেতা প্রসেনজিত নিলেন এক অভিনব উদ্যোগ। বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে ১০০ সিনেমা হল খুলবেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই মাইক্রো ফরম্যাট সিনেমা হল গুলি হবে ৪০-৫০ জন দর্শকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ছোট আকারের হল। এই প্রেক্ষাগৃহগুলি শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায়ও নির্মিত হবে, যাতে বাংলা ছবি এবং অন্যান্য চলচ্চিত্র সাধারণ মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে যায়।
বর্তমানে মাল্টিপ্লেক্স সংস্কৃতির প্রভাবে সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যার ফলে অনেক মানসম্পন্ন বাংলা ছবি পর্যাপ্ত দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। প্রসেনজিতের এই উদ্যোগ এই সমস্যার সমাধান করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রসেনজিত একটি দুর্দান্ত মডেল তৈরি করেছেন। এর ফলে প্রত্যন্ত এলাকায়ও সিনেমা দেখার সুযোগ তৈরি হবে। এতে ছবির বাজার প্রসারিত হবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হবে।”
বাংলা চলচ্চিত্র বর্তমানে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মাল্টিপ্লেক্সের উত্থানের ফলে সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হল গুলি প্রায় বিলুপ্তির পথে। এর ফলে অনেক প্রতিশ্রুতিশীল ছবি পর্যাপ্ত প্রেক্ষাগৃহের অভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। প্রসেনজিতের এই মাইক্রো ফরম্যাট প্রেক্ষাগৃহের পরিকল্পনা এই সমস্যার একটি বাস্তবসম্মত সমাধান হতে পারে।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় শুধু একজন অভিনেতা নন, তিনি একজন প্রযোজক এবং বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে এক বিশেষ নাম। তাঁর প্রযোজনা সংস্থা ‘নিডিয়াস ক্রিয়েশনস’ এর মাধ্যমে তিনি ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সফল প্রকল্পে কাজ করেছেন।
তাঁর এই নতুন উদ্যোগ বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, “আমি চাই বাংলা সিনেমা প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছাক। এই মাইক্রো প্রেক্ষাগৃহগুলি সেই লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ।”
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ১০০টি মাইক্রো ফরম্যাট সিনেমা হল নির্মাণের পরিকল্পনা বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন এবং টলিউডের উৎসাহ এই উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করছে।
গ্রামে রাস্তা নেই! হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই প্রসব বিজেপি শাসিত রাজ্যে
এই প্রকল্প শুধু বাংলা ছবির বাজারকে প্রসারিত করবে না, বরং সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবেও রাজ্যের উন্নতিতে অবদান রাখবে। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের কাছে সিনেমার আনন্দ পৌঁছে দেওয়ার এই উদ্যোগ টলিউডের ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করবে বলে আশা করা যায়।