Omicron: পিসিআর পরীক্ষাতেও ধরা পড়ছে ওমিক্রনের সংক্রমণ, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

News Desk: করোনার সংক্রমণ চিহ্নিত করতে গোটা বিশ্বেই পিসিআর পরীক্ষাকে (PCR test) সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মত পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ওমিক্রনের (Omicron)…

Omicron infection

News Desk: করোনার সংক্রমণ চিহ্নিত করতে গোটা বিশ্বেই পিসিআর পরীক্ষাকে (PCR test) সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মত পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ওমিক্রনের (Omicron) সংক্রমণও চিহ্নিত করে যাচ্ছে বলে জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation)। পিসিআর টেস্ট ছাড়াও অন্যান্য ধরনের পরীক্ষা বিশেষ করে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়ে কি না তা নিয়ে এই মুহূর্তে গবেষণা চলছে।

মাত্র কয়েকদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় (south africa) প্রথম করোনার এই নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছে। ইতিমধ্যেই ওমিক্রন ভাইরাসকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে চিহ্নিত করেছে হু। ওমিক্রনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। নতুন এই ভাইরাসটির চরিত্র সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরাও খুব একটা পরিচিত নন। যে কারণে কিভাবে এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা যাবে তা নিয়েও উদ্বেগ বেড়েছে। এই ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে গবেষকরা নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছেন। করোনার অন্য প্রজাতিগুলির তুলনায় ওমিক্রন আরও বেশি মারাত্মক কিনা সেটাও এখনও হুর বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট নয়।

   

রবিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই মুহূর্তে তাঁদের হাতে এমন কোনও তথ্য নেই যার মাধ্যমে ওমিক্রনের উপসর্গকে করোনার অন্য প্রজাতির ভাইরাসের উপসর্গ থেকে আলাদা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। তবে যারা আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তারাও নতুন করে ওমিক্রন ভাইরাসে সংক্রামিত হতে পারেন। ওমিক্রনের প্রভাব কতটা সুদুরপ্রসারী তা জানতে নিরন্তর গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। অভিজ্ঞতা বলছে, ভ্যাকসিন এই নতুন প্রজাতিকে ঠেকাতে পারছে না। তাই কীভাবে ওমিক্রনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় তা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে।

সাধারণত করোনার সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় কর্টিকস্টেরয়েড ও আইএল-৬ রিসেপটর ব্লকার। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিৎসাতেও এই দুই ওষুধ কাজ দেবে। করোনা রুখতে বর্তমানে বাজারে যে সমস্ত ওষুধ চালু রয়েছে সেগুলি ওমিক্রনকে ঠেকাতে পারে কিনা তা নিয়েও গবেষণা চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, তাঁরা এখনও পর্যন্ত নতুন এই ভেরিয়েন্টের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারেননি। ওমিক্রন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তাঁদের আরও কিছুটা সময় লাগবে। এই ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য বা চরিত্রগত গুণাবলী একবার জানা গেলে সে ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ করার বিষয়টি কিছুটা সহজ হবে।