Jeetu Kamal: সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠতে জিতুর জীবন থেকে বাদ গিয়েছে অনেক কিছু

শ্যামলা রঙ। চিবুকে বড় আঁচিল।  গালে ব্রণর দাগ-রূপসজ্জা শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুর প্রস্থেটিক রূপটানের গুণে সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠেছেন জিতু (Jeetu Kamal) । তবে শুরু মেকআপে…

Jeetu Kamal

শ্যামলা রঙ। চিবুকে বড় আঁচিল।  গালে ব্রণর দাগ-রূপসজ্জা শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুর প্রস্থেটিক রূপটানের গুণে সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠেছেন জিতু (Jeetu Kamal) । তবে শুরু মেকআপে নয়, শরীর দিয়েও সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠতে হয়েছে জিতু কমলকে। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় জিতুর সেই কথা প্রকাশ্যে আনলেন স্ত্রী নবনীতা দাস । লম্বা পোস্টে তিনি জানালেন, সত্যজিৎ রায়ের মতো দাঁত করতে গিয়ে কতো যন্ত্রণা সহয় করতে হয়েছিল জিতুকে।

short-samachar

   

অন্তঃসত্ত্বা পরীমণি অসুস্থতার মধ্যেই শেষ করলেন ‘মা’-এর ডাবিং

সত্যজিৎ এবং জিতুর দাতেঁর পাটি আলাদা। শুধু মাত্র চরিত্রের খাতিরে সেখানেও সাদৃশ্য এনেছেন তিনি। চিকিৎসকের সাহায্যে নিয়ে শারীরিক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন অভিনেতা। নবনীতা লেখেন , ‘ সেই বিখ্যাত মানুষের দাঁতগুলোর সমতুল্য করার চেষ্টাতেও পিছপা হওনি তুমি। আমি রক্ত সহ্য করতে পারি না, তাই ভিডিও কলের এপাশে আমাকে রাখলে, আর নিজে একা গেলে জেদে। যে যন্ত্রণা, যে ব্যাথা সহ্য করতে দেখেছি, তা অচিরেই থেকে যাবে? দাঁতের ব্যাথা, কি ব্যাথা! সেটা যাদের হয় বা হয়েছে তারা জানে। বহু শিল্পী, শিল্পের স্বার্থে বহু আত্মত্যাগ করে এসেছেন, আমার মতে সেগুলোও সামনে আসা দরকার, খুবই দরকার। তাই, এই লুকনো কথাটা তোমায় না জানিয়েই পোস্ট করলাম, তোমার অনিচ্ছা থাকা সত্বেও…’

পিহুর শরীরি উষ্ণতায় চড়ছে স্টারের টি-আর-পি পারদ

দাঁতের পাটির পরিবর্তনের হাত ধরে আরও অনেক বদল এসেছে জিতুর জীবনে। তাঁর স্ত্রী জানান, ‘পর্দার ‘অপরাজিত রায়’ শক্ত খাবার আর খেতে পারেন না। পাঁঠার মাংসের হাড় চিবোনোর সুখ তাঁর জীবনে অতীত! লেবু রস করে খেতে হয়। যাতে দাঁতের ফাঁকে কোনও ভাবে আঁশ না আটকে যায়। মুরগির মাংসও নরম করে রান্না হচ্ছে তাঁর জন্য। ডাঁসা পেয়ারায় কামড় বসানো এ জীবনে আর হবে না।’ নবনীতার কথায়, ড্রিল মেশিনের দাপটে মাড়ি কমজোরি। এ দিকে নীচ থেকে ক্যাপ বসানো হয়েছে দাঁতে। শক্ত খাবার খেলে সেই ক্যাপ মাড়িতে কেটে বসবে। রক্তপাত অবশ্যম্ভাবী। তাই এত বিধিনিষেধ।