Myanmar: ঘরে-বাইরে চাপে পড়ে পাঁচ হাজার গণতন্ত্রকামীকে মুক্তি দিচ্ছে জুন্টা প্রশাসন

নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাতারাতি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে মায়ানমারের (Myanmar) শাসনভার নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল সে দেশের সেনাবাহিনী। ওই ঘটনার…

What is happening in Myanmar

short-samachar

নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাতারাতি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে মায়ানমারের (Myanmar) শাসনভার নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল সে দেশের সেনাবাহিনী। ওই ঘটনার পরেই গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয় মায়ানমার। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামেন হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ।

   

সাধারণ মানুষের ওই বিক্ষোভ দমনে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করে সামরিক প্রশাসন। গত আট মাসে সেনাবাহিনীর গুলিতে মায়ানমারে হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বন্দি করা হয় বেশ কয়েক হাজার মানুষকে। শেষ পর্যন্ত বন্দিদের মধ্যে ৫৬৩৬ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জুন্টা প্রশাসন।

সোমবার দুপুরে মায়ানমার সেনা প্রশাসনের প্রধান মিন আউং হ্লাইং বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে কারা মুক্তি পেতে চলেছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি। কবে এবং কিভাবে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে সে বিষয়েও কিছু বলেননি মিন।

ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়েছিল মায়ানমার সেনা। কাউন্সিলর আং সান সুচি ও গণতান্ত্রিক সরকারের বেশির ভাগ প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঘটনার জেরে লাখ লাখ মানুষ নেমেছিলেন পথে। আন্তর্জাতিক মহলও মায়ানমারের সামরিক শাসকদের কড়া নিন্দা করে। মায়ানমারে পুনরায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সেনাশাসকদের অনুরোধ জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক মঞ্চ। কিন্তু সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেনি জুন্টা প্রশাসন। শেষপর্যন্ত ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে জুন্টা প্রশাসন গণতন্ত্রকামী বন্দীদের মুক্তি দিতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কূটনৈতিক মহল মনে করছে, মায়ানমার সেনা আধিকারিকদের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। পাশাপাশি বেশ কিছু আর্থিক বিধিনিষেধও মায়ানমারের উপর জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে দেশের ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকায় সেনার সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে বিদ্রোহী বাহিনীর। সবদিক থেকেই প্রবল চাপের মুখে পড়েছে জুন্টা প্রশাসন। তাই উৎসবের অজুহাত দেখিয়ে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনাশাসক।

তবে পাঁচ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিলেই যে সমস্যা মিটবে তা নয়। গণতন্ত্রকামী সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, যে সমস্ত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সকলকেই মুক্তি দিতে হবে অবিলম্বে। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে। তবেই তাঁরা আন্দোলনের পথ থেকে সরে দাঁড়াবেন। অন্যথায় সামরিক প্রশাসনকে আরও বৃহত্তর আন্দোলন মোকাবিলা করার জন্য তৈরি থাকতে হবে।