ভাসছে দেশের “মডেল রাজ্য”, কটাক্ষ দেবাংশু’র

নিউজ ডেস্ক: কেরালার বৃষ্টি নিয়ে এবং জল যন্ত্রনা নিয়ে বামেদের দুষলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। বাংলায় সম্প্রতি বৃষ্টিতে নাস্তানাবুদ হয়েছে। এখনও জলে ভাসছে বহুস্থান। এর আগে বাঁধ…

Debangshu on kerala flood and corona situation

নিউজ ডেস্ক: কেরালার বৃষ্টি নিয়ে এবং জল যন্ত্রনা নিয়ে বামেদের দুষলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। বাংলায় সম্প্রতি বৃষ্টিতে নাস্তানাবুদ হয়েছে। এখনও জলে ভাসছে বহুস্থান। এর আগে বাঁধ ভেঙেই মারাত্মক অবস্থা হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির। তা নিয়েই বামেদের কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।

তিনি বলেছেন, “কেরালায় বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু। কয়েকদিন যাবৎ ৫টা জেলা জলের তলায়। প্রশাসন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। তারই সাথে দেশের সর্ববৃহৎ কোভিড কন্ট্রিবিউটর আজও কেরালা! কদিন আগের বাংলার অতিবৃষ্টির জল জমা নিয়ে ওদের রাজনৈতিক ব্যঙ্গবিদ্রুপ গুলো মনে থাকলেও আমরা সিপিএমের মত পাশবিক ও অমানুষ নই। তাই “মডেল রাজ্য” নিয়ে ব্যঙ্গ কদিন পরে হবে। আপাতত জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাক কেরালা, করোনা থেকে মুক্তি লাভ করে সুস্থ থাকুক সবাই, মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করি।”

গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার ভারী বৃষ্টি এবং তার জেরে কেরলের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস, সব মিলিয়ে বন্যা। ভয়ানক পরিস্থিতি কেরলের। এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বন্যার জেরে। ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে কোট্টায়ামে, ৮ জনের মৃত্যু ইদুক্কিতে। কোঝিকোড়েতে এক শিশুর জলে ডুবে গিয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে জোরকদমে দুর্গতদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। বিশেষ করে কোট্টায়াম ও ইদুক্কির বহু এলাকা বন্যার জলে একেবারে মুছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

kolkata-rain-bus

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জোরকদমে উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে। ধসে ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তিন শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সাত, আট ও চার বছরের শিশুরা একে অপরকে জড়িয়ে রেখেছিল ধসের সময়। সেই ভাবেই তিন জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। গোটা পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন তিনি। আহত ও প্রভাবিত মানুষদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে সরকার। প্রত্যেকের সুরক্ষার প্রার্থনা করে ট্যুইটও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারের তরফে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।অতি ভারী বৃষ্টি আর তার জেরে হওয়া ধসে বিধ্বস্ত ঈশ্বরের আপন দেশ কেরল। আরব সাগরে ঘনিয়ে ওঠা নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে দক্ষিণের রাজ্যটির মধ্য এবং দক্ষিণ প্রান্তের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই হড়পা বান শুরু হয়েছে। যার ফলে ভয়ানক ক্ষতি হয়েছে একাধিক এলাকায়।গোটা কেরালাজুড়ে প্রায় ১০৫ টি রিলিফ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জোরকদমে। সমস্ত জলাধারগুলিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

লাগাতার অতি ভারী বৃষ্টি এবং হড়পা বানের জেরে গোটা রাজ্যে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, রবিবার সকাল পর্যন্ত কেরালায় অতি ভারী বৃষ্টি হবে। পরবর্তী দু’দিনে ধীরে ধীরে বৃষ্টির তীব্রতা কমবে। এই পূর্বাভাসের পরই কেরালার পাঁচটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছিল প্রশাসন।রবিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও মেনে নিয়েছেন পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। সাম্প্রতিক কালে এই পর্যায়ের বৃষ্টি বহুদিন হয়নি কেরালায়। রবিবার সকালে অবশ্য শুধু কেরল বা দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে নয়, উত্তরের বেশ কয়েকটি রাজ্যেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকাও রয়েছে।