Mithu-sabyasachi: নিজের ভাগ্নীকে বিয়ে করেছিলেন সব্যসাচী-সামনে এল অজানা সত্য

দাম্পত্যের ৩৬ বছর বলছে, শুরুতে যেমন ছিল এখনও তেমনই আছে। শুধু ওজন আর বয়সটাই যা বেড়েছে। রাগে-অভিমানে -ভালবাসায় ভরে সব্যসাচী চক্রবর্তী ও মিঠু চক্রবর্তীর সংসার।…

Mithu-sabyasachi

দাম্পত্যের ৩৬ বছর বলছে, শুরুতে যেমন ছিল এখনও তেমনই আছে। শুধু ওজন আর বয়সটাই যা বেড়েছে। রাগে-অভিমানে -ভালবাসায় ভরে সব্যসাচী চক্রবর্তী ও মিঠু চক্রবর্তীর সংসার। কিন্তু জানেন কি, সম্পর্কে মামা-ভাগ্নী তাঁরা! শাশ্বতর সামনে পুরো বিষয়টি খোলসা করেন দু’জনে।

Advertisements

সম্প্রতি এই জনপ্রিয় শোয়ের এমনই একটি পর্বের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সেই পর্বে অতিথি আসনে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং সব্যাসাচী চক্রবর্তী এবং তাঁর স্ত্রী তথা বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী। সেখানে নিজেদের দাম্পত্য জীবনের একটা বড় রহস্য ফাঁস করেছিলেন এই তারকা দম্পতি।

   

অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী জানান, সব্যসাচী এখন তাঁর স্বামী হলেও বিয়ের আগে ছিলেন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নী ছিলেন তাঁরা! আসলে সব্যসাচী মিঠু চক্রবর্তীর মায়ের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় হন। সেদিক দিয়েই এমন সম্পর্ক তাদের। ১৯৮৬ সালে মিঠু চক্রবর্তীর সাথে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয় তাঁর। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশী দিনের দাম্পত্য জীবন তাঁদের। অভিনেত্রীর কথায়, ‘স্কুল অথবা কলেজ জীবনে একটা প্রেমও করতে পারল না! ওর জীবনে চাঁদ, ফুল তারা বলে কিচ্ছু নেই। সব্যসাচী চক্রবর্তী মানেই হয় ক্রিকেট, নয় জঙ্গল। তার পরেও বলব ও ভীষণ অনুভূতিপ্রবণ। কিন্তু সেই অনুভূতির কোনও বহিঃপ্রকাশ নেই। আদতে মানুষটা খুবই উদার। ২৪ ক্যারেট সোনার মতোই খাঁটি।’

এছাড়া সব্যসাচীকে হ্যালো বলে ডাকেন তাঁর স্ত্রী। মিঠু চক্রবর্তী জানান, ‘ ছোট থেকে মা, প্রতিবেশী দক্ষিণ ভারতীয় এক কাকিমাকে দেখে বড় হয়েছি। ওঁরা কেউ স্বামীর নাম ধরে ডাকতেন না। মা বলতেন, ‘ওগো’, ‘হ্যাঁগো’ নয়তো ‘সান্যাল মশাই’। সেই কাকিমা কাকুকে ডাকতেন ‘হ্যালো’ বলে। বিয়ের পরে দেখলাম, চক্রবর্তী বা ‘চক্কোতি মশাই‘ নামটা বড্ড বড়। কাকিমার পথে হেঁটে স্বামীকে তাই ‘হ্যালো’ বলে ডাকি।