Mimi Chakraborty: ‘আমি জানি, বাবা-মায়ের পরে আমার তো কেউ নেই’।

Mimi Chakraborty: রাজ চক্রবর্তীকে ভালো ভেসেছিলেন প্রাণ দিয়ে। লাভ হয়নি। রাজের প্রেম কাঁটা হয়ে থেকে গিয়েছে মিমির জীবনে। রাজের এখন ভরাট সংসার, আর মিমির! বাবা…

Mimi Chakraborty

Mimi Chakraborty: রাজ চক্রবর্তীকে ভালো ভেসেছিলেন প্রাণ দিয়ে। লাভ হয়নি। রাজের প্রেম কাঁটা হয়ে থেকে গিয়েছে মিমির জীবনে। রাজের এখন ভরাট সংসার, আর মিমির! বাবা মা আর তাঁর স্বাদের পোষ্যরা ছাড়া আর তো কেউ নেই। যদিও নিজের অতীত, প্রেম নিয়ে সেভাবে কথা না বলেই ভালো থাকেন মিমি। তবে, এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে কিছুটা মনের কথা খুলেই বললেন অভিনেত্রী।

এদিন নায়িকা বলেছেন, ‘ছোট থেকে প্রত্যেক মহিলাকে নিজের জন্য নিজেকে তৈরি হতে হবে। এই যে মহিলারা স্বামীর হাতে মার খায়, তাদের শেখাতে হবে হাত উঠলে সেই হাত ভালবাসার হলেও সেটা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। অসম্মান হলে চিৎকার করে বলতে হবে। টাকা রোজগার করে নিজের জন্য জমাতে হবে। আমি জানি, বাবা-মায়ের পরে আমার তো কেউ নেই। জীবন একার… এ আমার অভিযোগ নয়, এ আমার শান্তি।’

আসলে এদিন মিমির ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতাদের তুলনায় অভিনেত্রীদের জীবনে বেশি স্ট্রাগল নিয়ে কথা বলছিলেন। তখনই কি এক কথায় কথায় অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন’ ধারাবাহিকের সময় তখন তাঁরা সাজগোজ করছিলেন। হঠাৎ তিন জন প্রতিষ্ঠিত পুরুষ অভিনেতা ওই ঘরে ঢুকে তাঁদের বাইরে বেরিয়ে যেতে বলেন। বাইরে তখন ৪০ ডিগ্রি। ওই গরমেই সাজগোজ করে গাছের তলায় বসে থাকতে হয়েছিল তাঁদের। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আজ বোধ হয় অভিনেত্রীদের এত বিরূপতা সহ্য করতে হয় না। এখন সকলের ম্যানেজার থাকে। বাউন্সার থাকে।’

বিজ্ঞাপনের জগতে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের দিকটি তুলে ধরে মিমি আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রি চায় বাংলার নায়িকাদের ক্যাটরিনা কইফের মতো দেখতে লাগুক। অথচ সেই লুক এলেও টাকা দেওয়ার বেলায় লোকের যে কী কষ্ট হয়! মুম্বইয়ে প্রযোজনা সংস্থা ক্যাটরিনার খাবারের খরচও দেয়। আর এখানে পয়সা এতটাই কম যে ভাবাই যায়না। নায়িকার ভাষায়, ‘আর তখন শুরু হবে ট্রোলিং। ‘মোটা মেয়ে’, ‘কালো মেয়ে’, ‘বুড়ি মেয়ে’। শাহরুখ খান এখনও নায়ক। আর মাধুরী দীক্ষিত? এই তো অবস্থা!’