নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদকে সরকারি মদত দিকে গিয়ে পাকিস্তান (Pakistan) যে অন্দরে অন্দরে চরম অসুস্থ তার ভয়াবহ প্রমাণ হয়ে এসেছে কর্মহীন প্রগতির পরিসংখ্যান। জবলেস গ্রোথের ভয়াবহ উদাহরণ হয়ে গেল একটি পিওন পদের জন্য ১৫ লাখ চাকরি প্রার্থীর আবেদন জমা পড়ার ঘটনায়।
সম্প্রতি পাকিস্তানের একটি হাইকোর্টে একজন পিয়ন নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই শূন্যপদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন অন্তত ১৫ লাখ। পিয়ন পদে আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন এমফিল ডিগ্রিধারীরা।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশের বেকারত্ব সাড়ে ছয় শতাংশ দাবি করেছেন। কিন্তু পরিসংখ্যান ভিন্ন কথা বলছে। পাকিস্তান ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট ইকনোমিক্সের তথ্য অনুসারে দেশটির বেকারত্বের হার ইমরানের দাবির চেয়ে বেশি, ১৬ শতাংশ। বর্তমান সময়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর অন্তত ২৪ শতাংশ বেকার।
পাকিস্তানে বেকারত্বের চরম আকার নিয়ে প্রতিবেদন লিখেছে The Dawn সংবাদপত্র। এতে বলা হয়েছে, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েটদের ৪০ শতাংশ বেকার। অনেকে ভালো চাকরি না পেয়েছে নিজেদের এমফিল শিক্ষায় নিয়োজিত করছে।
পিআইডিই কর্মকর্তারা জানান, দেশের বেকারত্ব নিয়ে সরকারি পর্যায়ে কোনও গবেষণা হয়নি। যা হয়েছে তা বিদেশ থেকে। অনেক গবেষণা ইন্সটিটিউট সক্রিয় থাকলেও এগুলোর গবেষণার লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।