নিউজ ডেস্ক: জিতছেন টিএমসি দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিধায়ক হচ্ছেন ফের। ভবানীপুর থেকে এই বার্তা ছড়াল দেশ জুড়ে। আর রাজ্যের সর্বত্র শুরু হয়েছে বিজয় উল্লাস। দার্জিলিং থেকে ডায়মন্ডহারবার তৃণমূল কর্মীরা মেতেছেন সবুজ আবিরে। উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্র ভবানীপুর, সানসেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস।
তাৎপর্যপূর্ণ গত বিধানসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে বিজেপির কাছে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নন্দীগ্রামেও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে উল্লাস। দলনেত্রীর নন্দীগ্রামে পরাজয় হলেও বিধানসভা ভোটে বিপুলভাবে জয়ী হয় টিএমসি। তিনবার সরকার গড়ে। বিধায়ক না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকেন মমতা। উপনির্বাচনে ভবানীপুর থেকে তিনি ফের জয়ী হয়ে প্রাক্তন বিধায়ক থেকে ফের বিধায়ক হতে চলেছেন।
নন্দীগ্রাম বিধানসভার টিএমসি কর্মী সমর্থকরা হাঁফ ছেড়েছেন। তাঁদের কেন্দ্রেই মুখ্যমন্ত্রীর পরাজয় ছিল গলায় কাঁটার মতো। বাম জমানায় যে নন্দীগ্রামে গুলি চলেছিল তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলনেই মমতার অগ্রগতি। সাথে ছিল হুগলি সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের জন্য তৈরি হতে চলা কারখানার জমি নিয়ে বিতর্ক ও কৃষক বিক্ষোভ। সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম দুই আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে পৌঁছে দিয়েছে।
পরপর দুবার ক্ষমতা ধরে রেখে গত নির্বাচনে ভোট পরীক্ষা দিতে নামেন মমতা। দলেদলে টিএমসি ত্যাগ ও বিজেপির উত্থান থমকে যায় ভোটের ফলে। তিনবার টানা সরকার গড়ে তৃণমূল। তবে বিজেপি হয় প্রধান বিরোধী দল। আর রাজ্য থেকে মুছে যায় বামেরা।
নন্দীগ্রামে মমতা হেরে যান। তবে মুখ্যমন্ত্রী থাকেন। স্বাধীনতার আগে যুক্তবঙ্গ থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের আইনসভায় তিনিই এমন ব্যতিক্রমী মুখ্যমন্ত্রী। তবে ভবানীপুর কেন্দ্র তাঁকে ফের বিধানসভায় পাঠাচ্ছে।