RRR: নয়া ইতিহাস গড়ে ট্রিপল আর ছবির গান পেল গোল্ডেন গ্লোব

ট্রিপল আর (RRR) ছবির গান নাটু পেয়ে গেল গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার। ডিসেম্বর মাসে এই ছবি বিশ্বের এই বিশাল সম্মানের পুরস্কারের মঞ্চে দুটি নমিনেশন পেয়েছিল।

RRR gets Golden globe award

ট্রিপল আর (RRR) ছবির গান নাটু পেয়ে গেল গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার। ডিসেম্বর মাসে এই ছবি বিশ্বের এই বিশাল সম্মানের পুরস্কারের মঞ্চে দুটি নমিনেশন পেয়েছিল। এবার শেষ পর্যন্ত তাঁর ছবির গান পেল সেরা গানের পুরস্কার। পুরস্কার হাতে তুলে নিলেন এমএম কিরাবন।

আমেরিকাতে প্রিমিয়ারেই ১ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি হয়েছিল ট্রিপল আর এর। ফিল্ম রিলিজের দুই সপ্তাহ বাকি থাকতে এমন টিকিটের বিক্রি যে কোনও ভারতীয় ফিল্মের ক্ষেত্রে অলটাইম রেকর্ড।

এরপর নতুন ইতিহাস রচনা করে ফেলে রাজামৌলির আরআরআর! মুক্তির প্রথম দিনে সিনেমাটির ওয়ার্ল্ডওয়াইড কালেকশন ছিল ২২৩ কোটি টাকা। শুধু ভারত থেকে প্রথম দিনে সিনেমাটির আয় ১৫৬ কোটি , আর হিন্দি ভার্সন আয় করেছে ২৫ কোটি। বাহুবলী কেউ ছাড়িয়ে যায় এই সিনেমা।

জল এবং আগুন দুটোই পরস্পরের বিপরীত ধর্মী। স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ পানীয় জল আমাদের তৃষ্ণা নিবারণ করে। সুশীতল জলে স্নান করলে আমাদের শরীরের যাবতীয় ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। কিন্তু সেই জলই আবার বন্যা কিংবা জলোচ্ছ্বাস রূপে সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে যায়। জলের আরো একটা গুন হলো জল আগুনের লেলিহান শিখাকে নিমেষের মধ্যে নিভিয়ে ফেলতে পারে।

আগুনের বৈশিষ্ট্যই হলো জ্বালানো, পোড়ানো। আগুন যদি সরাসরি জলের সংস্পর্শে আসে তবে নিভে যাবে। কিন্তু জলের সঙ্গে যদি পেট্রোল মিশিয়ে আগুনের উপর ঢালা হয় তাহলে কি ঘটবে তা আমরা সকলেই জানি। আগুন তো নিভবে না বরং আরো দাউদাউ করে জ্বলবে।

জল এবং আগুনের গল্প নিয়েই এই আর.আর.আর সিনেমাটি নির্মিত হয়। এখানে কোমারাম ভীম ( জুনিয়ার এন.টি.আর ) হলো জল এবং আল্লুরি সীতারামা রাজু ( রাম চরণ ) হলো আগুন। কাহিনীর বিষয়বস্তু হলো জল এবং আগুনের মধ্যে বন্ধুত্ব।

কি জল এবং আগুনের মধ্যে বন্ধুত্ব? জানি শুনে অবাক হচ্ছেন। অবাক তো হওয়ারই কথা। কারণ এই ছবির পরিচালক আর যে সে নয় স্বয়ং এস.এস রাজামৌলি। রাজামৌলি এমন একজন ব্যক্তি যিনি যেকোনো অসাধ্যকে সাধ্য করার সামর্থ্য রাখেন। এখানেও তিনি আরো একবার অসাধ্যকে সাধ্য করে দেখিয়েছেন। এখানে তিনি পেট্রোল হিসাবে কাজে লাগিয়েছেন জাতীয়তাবাদকে।

দুজন পরস্পর বিপরীতধর্মী মনোভাবের মানুষ ভীম এবং রাজুর অভিন্ন হৃদয় বন্ধু হয়ে ওঠা এবং অত্যাচারী ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাহিনীই হলো এই ছবির বিষয়বস্তু। সিনেমার প্রতিটা দৃশ্যে রয়েছে টুইস্ট। সিনেমায় ইমোশন ভরে ভরে রয়েছে। সিনেমার চরিত্রগুলোতে অনেকটা রামায়ণ এবং মহাভারতের ছোঁয়া রয়েছে।

সিনেমার কাহিনী বিন্যাস, স্ক্রিন প্লে, পিকচার কোয়ালিটি, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অসাধারণ। জুনিয়ার এন.টি.আর এবং রাম চরণের অভিনয় নিয়ে বলার মতো কোনো ভাষা নেই। দুজনেই দাপিয়ে অভিনয় করেছে। বলতে গেলে এখনও পর্যন্ত তারা তাদের কেরিয়ারের সেরা অভিনয়টা এই ছবিতে করেছে। আল্লুরি সীতারামা রাজুর বাবার চরিত্রে অজয় দেবগণ এবং প্রেমিকার চরিত্রে আলিয়া ভাটও ভালো অভিনয় করেছে। যদিও তাদের স্ক্রিন টাইমিং অনেকটাই কম ছিল।