মুম্বই: টেলিভিশন দুনিয়ার জনপ্রিয় জুটি জয় ভানুশালী ও মাহি ভিজের দাম্পত্য নাকি খাদির কিনারে! তাদের সম্পর্ক ভাঙার গুঞ্জনে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। জয় ও মাহির বিচ্ছেদ নাকি সময়ের অপেক্ষা৷ এই লাবিডাবি জুটির বিচ্ছেদের খবর যখন টক অফ দ্য টাউন, তখন মুখ খুললেন মাহি৷ এই সমস্ত খবরকে ‘মিথ্যে প্রচার’ বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রী। ইনস্টাগ্রামে এক প্রতিবেদনের মাহি স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন, “Don’t post false narratives. I’ll take legal action against this.” অর্থাৎ, গুজব রটালে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাহি৷
প্রতিবেদন ঘিরে চাঞ্চল্য
ঘটনার সূত্রপাত, একটি বিনোদনভিত্তিক ইনস্টাগ্রাম পেজে প্রকাশিত একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে। সেখানে দাবি করা হয়, ১৪ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানতে চলেছেন জয় ও মাহি। এমনকি প্রতিবেদনটিতে আরও লেখা হয়—চলতি বছরের জুলাই-অগস্টের মধ্যে নাকি তাঁদের ‘ডিভোর্স পেপার’ সই ও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সন্তানদের হেফাজতের সিদ্ধান্তও নাকি নির্ধারিত। সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস-এর উদ্ধৃতি টেনে সেই পোস্টে বলা হয়, “অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার, কিন্তু কিছুই বদলায়নি। বিচ্ছেদ আসলে অনেক আগেই ঘটে গিয়েছিল।”
এর পাশাপাশি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মাহির ‘বিশ্বাসজনিত সমস্যা’ থেকেই নাকি দাম্পত্যে ফাটল ধরেছিল। এক সময় যাঁদের যৌথ ভ্লগ ও পারিবারিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, সেই দম্পতিকে নাকি দীর্ঘদিন একসঙ্গে দেখা যায়নি। তাঁদের সর্বশেষ পারিবারিক পোস্ট ছিল ২০২৪ সালের জুনে, এবং সর্বশেষ প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল ২০২৫ সালের অগাস্টে—কন্যা তারা-র জন্মদিনে আয়োজিত লাবুবু-থিম পার্টিতে।
মাহির বক্তব্য ভাইরাল
তবে এই সমস্ত দাবি উড়িয়ে দিয়ে মাহি ভিজ জানিয়েছেন, সমাজে একক মাতৃত্ব বা বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে এখনও প্রচুর ভুল ধারণা রয়েছে। তাঁর কথায়, “অনেকে ভাবে বিবাহবিচ্ছেদ মানেই নাটক বা দোষারোপের লড়াই। কিন্তু জীবনকে একটু সহজভাবে দেখতে হবে। সবাইকে নিজের মতো বাঁচতে দিন।”
উল্লেখ্য, জয় ও মাহি ২০১১ সালে বিয়ে করেন। তাঁদের কন্যা তারা জন্ম নেয় ২০১৯ সালে। এর আগে ২০১৭ সালে তাঁরা দুই সন্তান রাজবীর ও খুশিকে দত্তক নেন এই দম্পতি। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মাহি নাকি সম্প্রতি সন্তানদের নিয়ে নতুন বাড়িতে উঠেছেন, অন্যদিকে জয়কে দেখা গিয়েছে মেয়ের সঙ্গে ভ্রমণের ছবিতে।
তবে এই মুহূর্তে মাহির বক্তব্যে স্পষ্ট—তিনি এমন কোনও ‘বিচ্ছেদ’-এর গুজব মানতে নারাজ। বরং, মিথ্যা খবর রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত তিনি।


