Tollywood Gossip: গভীর রাত্রে ভেসে আসে গানের সুর। ঘুঙুর পরে কে যেন হেঁটে যায়। চোখের আড়াল হলেই নিমেষে সব লন্ডভন্ড। রহস্য, প্রেম, বিয়ে, হিংসা সব নিয়ে জমজমাটি ‘লালকুঠি’ ধারাবাহিক। অল্পদিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিরিয়ালটি। আর তার থেকেও বেশি জমজমাটি হয়ে উঠেছে মেয়েদের মেকআপ রুম। সাজসজ্জা তো আছেই সেইসঙ্গে এখানেই চলে খোসগল্প।
তবে দিনভর হাসি মজায় কাটলেও সন্ধ্যা নামতেই হাহাকার নেমে আসে এই মেকআপ রুমে। তবে এই হাহাকার দুঃখের নয় খাদ্যের। অভিনেত্রী পিঙ্কির কথায়, ‘ সারাদিনের পরিশ্রমের পর পেটের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়। তখন দই ফুচকা থেকে ক্রিম রোল, এগরোল কি নেই যে এই মেকআপ রুমের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে না’। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘ যে হারে আমার ফাস্টফুড খাচ্ছিলাম তাতে বেশিদিন লাগত না ডবল হতে। তবে তনুকাদি এক হোম ডেলিবারীর খোঁজ দেওয়ায় আজকাল ঘরোয়া খাবার খাওয়া হচ্ছে মেকআপ রুমে।
আপাতত বিয়ের শ্যুটিং চলছে ‘লালকুঠি’ ধারাবাহিকে। অভিনেত্রী রুকমা জানিয়েছেন, ‘এমন বন্ডিং খুব কম সিরিয়ালের সদস্যদের মধ্যে হয়’। বাংলা ধারাবাহিকে থ্রিলার বেস ধারাবাহিক ‘লালকুঠি’। আর এই ধারাবাহিকের কারণেই আবার জুটি বাঁধছেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় আর রুকমা রায়। কাহিনি অনুযায়ী, গয়না ডিজাইনিং শিখে বিদেশ থেকে দেশে এসেছে অনামিকা। একদিন গঙ্গার ঘাটে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় বিক্রমের। প্রথম আলাপে শুরু হয় ঝগড়া দিয়ে। তারপর ঘটনাক্রমে বিক্রমের অফিসেই কাজ। তার এক-অপরের মন জয়। তারপর প্রেম ও বিয়ে। এই পর্যন্ত সবকিছু চলতে থাকে ভালভাবে। গন্ডগোল বাঁধে বিক্রমের বাড়ি ‘লালকুঠি’ তে অনামিকার পা দিতেই। মুহুর্তে বদলে যায় অনামিকার জীবন। সে অনুভব করতে থাকে এই বাড়ির কিছু রহস্য লুকিয়ে আছে। কিন্তু কি? প্রশ্ন করেও উত্তর পায় না অনামিকা। কিন্তু বারে বারে তাঁর মনে হতে থাকে, তার জীবন বিপন্ন। কিছুতে যেন ভয় পেয়েছে সে। এমনকি বিক্রমকে জানিয়েও কোনও সুফল পায় না সে। বরং তাঁর মনে হতে থাকে, বিক্রমের অতীতেও যেন কোনও একটা ঘটনা আছে যা সে লুকিয়েছে অনামিকার থেকে। রহস্য সমাধান করার চেষ্টা শুরু করে অনামিকা। ‘লালকুঠি’-র গল্প মোড় নেয় রহস্যে, রোমাঞ্চে।