কলকাতার যুধাজিৎ-এর ‘নেহেমিচ’ এবার কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে

বাঘাযতীনের বাসিন্দা যুধাজিৎ বসু। স্কুলের পর ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু ভালো লাগেনি তার। পরে মাস কমিউনিকেশন পড়তে ভর্তি হন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে।

judhajits-film nehemich

বাঘাযতীনের বাসিন্দা যুধাজিৎ বসু। স্কুলের পর ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু ভালো লাগেনি তার। পরে মাস কমিউনিকেশন পড়তে ভর্তি হন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার পরীক্ষায় সারা ভারতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। শুরু করেন চলচ্চিত্র পরিচালনা নিয়ে পড়াশোনা।

যুধাজিৎ কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত হওয়া একমাত্র বাঙালি যাঁর স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি প্রদর্শিত হতে চলেছে। যুধাজিৎ -এর মারাঠি ভাষায় ২৩ মিনিটের ‘নেহেমিচ’।

ফ্রান্সে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতির মাঝে যুধাজিৎ নেহেমিচ নিয়ে বললেন, ‘মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন গ্রামে গাঁওকর নামের একটি প্রথা রয়েছে। যেখানে মহিলাদের ঋতুস্রাব চলাকালীন তাঁদের গ্রাম থেকে বহু দূরে কোনও পরিত্যক্ত জায়গায় রাখা হয়। বছর তিনেক আগে মহারাষ্ট্রের গারচিরোলি গ্রামে এই গাঁওকর প্রথাতে থাকা এক মহিলার অনাহারে মৃত্যু হয়েছিল।

এই সময় কোনও পুরুষ ওই মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। শুধু পরিবারের মহিলারাই খাবার নিয়ে যেতে পারেন। মূল গ্রাম থেকে সেই জায়গা অনেকটাই দূরে। স্বভাবতই খাবার নিয়ে যেতে দেরি হয়। এই খবরটা পড়ে আমি আরও খোঁজ খবর শুরু করি।’

এই প্রেক্ষাপটেই ছবির গল্প সাজিয়েছেন তরুণ পরিচালক। ছবির গল্প এগিয়েছে করোনার সময় গাঁওকরে থাকা একটি মেয়ে ও তার পরিযায়ী শ্রমিক প্রেমিককে নিয়ে। তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। মেয়েটি বেরিয়ে গিয়ে কীভাবে ওই ছেলেটির সঙ্গে দেখা করবে সেটাই হল ছবির মূল গল্প।