গরমে সুইমিং পুলে ডুব কাঞ্চন-শ্রীময়ীর, পালন করলেন প্রথম জামাইষষ্ঠী

kanchan - shreemoye

২০২৪ এর ১৪ই ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে সারেন কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) ও শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chattoraj)। ২রা মার্চ অনুষ্ঠিত হয় তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান (Registry Marriage)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ট বন্ধুরা। ৬ই মার্চ ছিল তাদের রিসেপশনের (Reception) অনুষ্ঠান।

Advertisements

ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো শহর, তার মধ্যেই মঙ্গলবার, জামাইষষ্ঠীর (Jamaisosthi) আগের দিন সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন কাঞ্চনের স্ত্রী শ্রীময়ী (Sreemoyee Chattoraj)। ছবিতে তাদের সুইমিং পুলে ডুব দিতে দেখা গেছে। পোস্টির সিপশনে শ্রীময়ী লিখেছেন, “খুব গরম পড়েছে,তাই’।” ছবিতে কাঞ্চন (Kanchan Mullick) এবং শ্রীময়ী (Sreemoyee Chattoraj) দুজনকেই সুমিন পুলের মধ্যে থেকে পোজ দিতে দেখা যাচ্ছে। কিছু ছবিতে মিঠে রোদ উপভোগ করছেন শ্রীময়ী। স্ত্রীকে কাঁধে হাত রেখে পোষে দিয়েছেন কাঞ্চনও। পুলের পাশেই রাখা রয়েছে ফলের রসের গ্লাস, যা গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

   

বিয়ের পরের প্রথম জামাইষষ্ঠী এই দম্পতির। সেই প্রসঙ্গে এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার বাড়ির নিয়ম সম্পর্কে জানান শ্রীময়ী (Sreemoyee Chattoraj)। শ্রীময়ী জানিয়েছেন যে তাদের বাড়ির রীতি অনুযায়ী জামাইকে কাঁঠাল পাতায় দেওয়া হয় পাঁচটি ফল, দেওয়া হয় নতুন জামাকাপড় এবং তার হাতে হলুদ সুতো বেঁধে ,পাখার বাতাস করেন শাশুড়ি।

Advertisements

ইতিমধ্যে একটি সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন (Kanchan Mullick) জানিয়েছেন, তার সব রকমেরই মাছ পছন্দ । “আমার স্ত্রী মাছের ব্যাপারে একটু সাবধানী, তবে আমার কাছে যে কোনও মাছিই ভাল,ইলিশ চিংড়ি, আড় মাছ, বোয়াল ,বান মাছ, কাচঁকি মাছ, ভাঙ্গন মাছ ইত্যাদি।” বললেন কাঞ্চন ।

প্রথম জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ির কাছে কাঞ্চন খেলেন পোলাও, সঙ্গে ছানার কোফতা। এছাড়া মেনুতে ছিল লুচি, ছোলার ডাল, কাতলা মাছের মাথা, মাংস । শেষ পাতে ছিল পায়েস, দই, মিষ্টি। কাঞ্চনকে স্ত্রী নিজের হাতে খাওয়ালেন কাতলা মাছের মাথা। কাঞ্চনও স্ত্রীকে নিজের হাতে খাওয়ালেন পোলাও। কাঞ্চন শাশুড়ির কাছ থেকে নতুন ধুতি-পাঞ্জাবি উপহার পেয়েছেন, তবে নিজেও শশুর-শাশুড়ির জন্য উপহার নিয়ে যেতে ভোলেননি।এছাড়া মেয়ের মঙ্গল কামনায় বিকেলে জামাইয়ের মুখ না দেখা অব্দি ফলাহার করছেন শাশুড়ি। কাঞ্চন এই মুহূর্তে খুবই ব্যস্ত। জামাইষষ্ঠীর সকালেও রয়েছে কাজের ভার। তবে বিকেলে শাশুড়িমার কাছে আবার যাবেন বলে কথা দিয়েছেন তিনি।