সঞ্জলীলা বনশালি (Sanjay Leela Bhansali) মানেই জাঁমকালো সেট, চুঁইয়ে পরা গ্ল্যামার আর টানটান প্লট। তবে ইদানিং মনে হচ্ছে একটু উল্টো পথে হাঁটছেন বনশালিজী। ছবি সুপারডুপার হিট করতে আগের সব উপকণের সঙ্গে মেশাচ্ছেন নতুন আরেক ফর্মূলা। যার নাম বিতর্ক। কখনও ছবির নাম তো কখনও কাহিনি, পরিচালকের ছবি নিয়ে আজকাল কোনও না কোনও গোলমাল যেন লেগেই রয়েছে। যার অন্যথা পরিচালকের আপকামিং মুভি ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ তেও হয়নি।
২০২০ সালে গঙ্গুবাইকে নিয়ে ছবি হচ্ছে জানার পরই পরিচালকের সঙ্গে লড়াই শুরু তাঁর পরিবারের। এক সাক্ষাৎকারে গঙ্গুবাইয়ের পালিত পুত্র বাবু রাওজি শাহ বলেন, “আমার মাকে যৌনকর্মী হিসেব দেখানো হয়েছে ছবিতে। লোকে এখন আমার মায়ের সম্পর্কে কটু কথা বলছে।” বাবু রাওজির আইনজীবীর দাবি, ‘গঙ্গুবাইয়ের পরিবারের সদস্যদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এমনকি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও প্রশ্ন তুলছেন, যে গঙ্গুবাই আদৌ সমাজকর্মী ছিলেন নাকি যৌনকর্মী।’ তিনি আরও জানান, গঙ্গুবাইয়ের পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থা ভাল নয়। এ নিয়ে ছবির পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালী এবং হুসেন জা়ইদিকে আইনি নোটিস পাঠালেও লাভের লাভ কিছু হয়নি।
এদিকে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছিলেন, ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী, কামাথিপুরা অঞ্চলকে নিষিদ্ধপল্লি বলে বর্ণনা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ এ ও যে, সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত এই ছবিতে মানহানি করা হয়েছে কাঠিয়াওয়াদি সম্প্রদায়ের মানুষদেরও। আমিন পটেল নামের ওই এমএলএ বোম্বে হাইকোর্টে আইনিভাবে আর্জি জানিয়েছিলেন ছবির নাম পরিবর্তন করার জন্য। আজ এই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। তবে নির্মাতা এবং গঙ্গুবাইয়ের পরিবারের দ্বন্দ্ব মেটাতে এই ছবির নাম বদলে ফেলার পরামর্শ দিল হাইকোর্ট।
আর ঠিক এখানেই উঠছে প্রশ্ন! শুরু থেকে যখন সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তখন প্রথমেই ছবির নাম বদল করতে পারতেন পরিচালক কিন্তু তিনি তা করেননি। উল্টো ঘি দিয়েছেন বিতর্কে। সঞ্জয় লীলা ভন্সালী এর আগেও তাঁর দু’টি ছবির নাম বদল করেছেন আদালতের নির্দেশে, ‘রামলীলা’, ‘পদ্মাবত’। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে কেন শিক্ষ নেননি তিনি? এখানেই তৈরি হয়েছে প্রশ্নের। তাহলে কি বিতর্ক তৈরি করে নিজের ছবিকে লাইমলাইটে রাখছেন পরিচালক?