আমি বেঁচে আছি, টুইট করে জানালেন টলো নিউজের ‘মৃত’ সাংবাদিক

নিউজ ডেস্ক: গোটা আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে। রোজই শোনা যাচ্ছে তাদের অকথ্য অত্যাচারের গল্প। শরিয়তি আইনের পালন এবং নিজেদের নৃশংস মানসিকত্যার নতুন নতুন নজির তাঁরা সৃষ্টি করছে রোজ। হঠাৎ করে আফগানিস্তান থেকে উধাও হয়েছে গণতন্ত্র। চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমকেও ছাড়ছে না তালিবানি জঙ্গিরা। কয়েকদিন আগে খবর পাওয়া গিয়েছিল কাবুলে রিপোর্ট করার সময় তালিবানরা টলো নিউজের আফগান রিপোর্টার, জিয়র ইয়াদ এবং তাঁর সহকারী চিত্র সাংবাদিককে মারধর করে। বিভিন্ন মিডিয়ার করা খবর অনুযায়ী, তালিবানদের অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যদিও সহকারী ক্যামেরাপার্সনের বিষয়ে বিশদে কিছু জানা যায়নি।

Advertisements

   

এবার বিশ্বের নানা প্রান্তের মিডিয়ায় মেরে দেওয়া সাংবাদিক নিজে টুইট করে জানালেন, তিনি বেঁচে আছেন। টোলো নিউজের রিপোর্টার জিয়ার ইয়াদ টুইট করে জানিয়েছেন, “কাবুলের নিউ সিটিতে আমাকে তালিবানরা আমাকে মারধর করেছিল। ক্যামেরা, প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম এবং আমার মোবাইল ফোনও ছিনতাই করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু মানুষ আমার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দিয়েছে যা মিথ্যা। তালেবানরা একটি সাঁজোয়া ল্যান্ড ক্রুজার থেকে বের হয়ে আমাকে বন্দুকের আঘাত করে। আহত হলেও আমার মৃত্যুর খবর ভুয়ো।”

আরও পড়ুন কথা রাখল তালিবান, কাবুল এয়ারপোর্টে বিস্ফোরণে রক্তাক্ত, ভারতীয়দের খবর নেই

Advertisements

আরেকটি টুইটে তিনি লিখেছেন, “আমি এখনও জানি না কেন তালিবানরা হঠাৎ আমাকে আক্রমণ করেছিল। বিষয়টি তালিবান নেতাদের জানানো হয়েছে; তবে, অপরাধীদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। গণমাধ্যমের ওপর হামলা মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য মারাত্মক হুমকি।” 

আরও পড়ুন শিল্পেই বিপ্লব: তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কাবুলের গ্রাফিতি শিল্পী শামসিয়া হাসানি

যদিও তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকেই কাবুলে গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে৷ রাজধানী শহর কাবুলের বিভিন্ন এলাকা থেকে গুলি চলার খবর জানাচ্ছে রয়টার্স সংবাদ সংস্থা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই খবর জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থাটি৷ সংবাদমাধ্যম সহ অন্যান্যদের ওপরেও হামলার ঘটনা ঘটছে গোটা আফগানিস্তান জুড়েই।