শতাধিক মৃতদেহে রক্তাক্ত কাবুল, CIA-তালিবান বৈঠকের পরেই কেন বিস্ফোরণ ?

নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি, যাদের কাজ বিভিন্ন দেশে অস্থিরতা তৈরি করে সরকার ফেলে মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখা-তাদের প্রধানের সঙ্গে তালিবান জঙ্গিদের…

নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি, যাদের কাজ বিভিন্ন দেশে অস্থিরতা তৈরি করে সরকার ফেলে মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখা-তাদের প্রধানের সঙ্গে তালিবান জঙ্গিদের বৈঠকের পরেই বিস্ফোরণের আগাম বার্তা ও সেই বিস্ফোরণে রক্তাক্ত চেহারা দেখছে বিশ্ব। আর শতাধিক মানুষের মৃতদেহ নিয়ে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এখন ভয়াবহ ছবি।

তবে আফগান সংবাদ মাধ্যমের খবর, বিমান বন্দর থেকে সব দেহ সরানো হয়েছে, রাতভর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার সকালে শতাধিক মৃত্যু হয়েছে। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা।

বৃহস্পতিবার কাবুল বিমান বন্দরে বিস্ফোরণের পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া তালিবান জঙ্গিদের বক্তব্যে সবটাই মিল। দুই তরফের দাবি হামলা করেছে ইসলামিক স্টেট খোরাসান। অই সংগঠনটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত শাখা।

খোরাসান একটি পুরনো ঐতিহাসিক শব্দ। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে খোরাসান ছিল। সেখানেই সক্রিয় তালিবান বিরোধী ইসলামিক স্টেট। সেই ইসলামিক স্টেট (আইএস) এরই মধ্যে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। এমন জানাচ্ছে রয়টার্স। তবে এর মধ্যেই প্রশ্ন, তালিবান চোখ এড়িয়ে কাবুলে আইএস হামলা যদি সত্যি হয় তাহলে এই তালিবান অন্দরে দূর্বল।

এও প্রশ্ন, সম্প্রতি তালিবান জানিয়েছে কোনও আফগান নাগরিককে বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না। তবুও কাবুল এয়ারপোর্টে হাজার হাজার আফগানি হাজির। ন্যুনতম বিদেশের যোগসূত্র নিয়ে ছাড়পত্র পেতে মরিয়া। আগামী ৩১ আগস্ট মার্কিন সেনা পুরো সরে গেলে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে ভেবেই যে যার নিকটস্থ সীমান্ত পেরিয়ে বিদেশে যেতে মরিয়া।

তালিবানের দাবি, কাবুল বিস্ফোরণে তাদের কয়েকজন মৃত। আমেরিকার দাবি, বিস্ফোরণে তাদের কয়েকজন সেনা মৃত। কাবুল বিমান বন্দরের ভিতরে আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের সেনা আছে। বাইরের গেটে তালিবান পাহারায়। কোন অবস্থায় ইসলামিক স্টেট বিস্ফোরক বোঝাই করে পাঠাল সেটা নিয়েই প্রশ্ন করছেন বিভিন্ন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।