মুম্বাইয়ের বাঙ্গুর নগর (bangur nagar police) পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই ব্যক্তি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একজন হলিউড অভিনেত্রীকে (Hollywood actress)যৌন নির্যাতন করেছিলেন এবং পরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ তল্লাশির পর অভিযুক্তকে চণ্ডীগড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল তাকে গ্রেপ্তারের পর বোরিভালি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে একদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।
৫৫ বছর বয়সী ভুক্তভোগী (Hollywood actress) মুম্বাইয়ের মালাডের বাসিন্দা। তিনি হলিউডে অভিনয় করেছেন এবং তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেলিংয়ের মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিনি হলিউড, বলিউড এবং তামিল চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টিভি সিরিয়ালেও কাজ করেছেন। ভুক্তভোগী একজন ট্রান্সজেন্ডার, যিনি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নারী হয়েছেন।
কয়েক মাস আগে, ভুক্তভোগী (Hollywood actress) ৩০ বছর বয়সী অভিযুক্তের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করেন। তাদের পরিচয় দ্রুত গভীর বন্ধুত্বে রূপ নেয়। তারা মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেন। অভিযুক্ত নিজেকে একজন সহকারী পরিচালক হিসেবে পরিচয় দেন। জানুয়ারি মাসে ভুক্তভোগী দিল্লি সফরে যান। সেখানে তিনি অভিযুক্তের সঙ্গে সশরীরে দেখা করেন। এই সাক্ষাতের সময় অভিযুক্ত তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন, যা তিনি গ্রহণ করেন।
সূত্র জানায়, এরপর অভিযুক্ত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যান। কিন্তু পরে ভুক্তভোগী যখন সম্পর্ক চালিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। তখন তাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর অভিযুক্ত তার বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
ভুক্তভোগী (Hollywood actress) যখন বিয়ের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তখন অভিযুক্ত তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন এবং বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকেন। এমনকি তিনি ফোন কলও উপেক্ষা করতে শুরু করেন। অবশেষে ভুক্তভোগী বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর তিনি মুম্বাইয়ের বাঙ্গুর নগর থানায় গিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ভুক্তভোগীর বক্তব্যের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে। কিন্তু তিনি হাজির না হয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ তখন অভিযুক্তের খোঁজে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে তিনি চণ্ডীগড়ে লুকিয়ে আছেন। এরপর পুলিশের একটি দল চণ্ডীগড়ে পৌঁছে তাকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাইয়ে ফিরিয়ে আনে। গ্রেপ্তারের পর তাকে বোরিভালি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে একদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।