বিচারে এবার পাল্লাভারী হল সঞ্জয় লীলা বনশালির দিকে। বম্বে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ (Gangubai Kathiawadi) এক মহিলার লড়াই ও উত্থানের কথা বলে। এই ছবিতে গাঙ্গুবাইকে অসম্মান করা হয়নি। এমনকী, যৌনপল্লীর মানুষদেরও ছোট করে দেখানো হয়নি। তাই ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র মুক্তিতে কোনও বাধা নেই।
সেন জায়েদির লেখা ‘মাফিয়া ক্যুইনস অফ মুম্বই’ বইয়ের উপর ভিত্তি করে ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ তৈরি করেছেন সঞ্জয় লীলা বনশালি। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট। এই শুক্রবারই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। তার আগেই বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মহারাষ্ট্রর বিধায়ক আমিন প্যাটেল। তাঁর অভিযোগ, ছবিতে কামাথিপুরা এলাকার সম্পর্কে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। কামাথিপুরা মানেই কিন্তু যৌনপল্লি নয়। এখানকার মহিলারা নিজেদের ক্ষমতায় সসম্মানে বাঁচছেন। আমিন পটেল নামের ওই এমএলএ বোম্বে হাইকোর্টে আইনিভাবে আর্জি জানিয়েছিলেন ছবির নাম পরিবর্তন করার জন্য। যদিও এই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। তবে নির্মাতা এবং গঙ্গুবাইয়ের পরিবারের দ্বন্দ্ব মেটাতে এই ছবির নাম বদলে ফেলার পরামর্শ দিল হাইকোর্ট। পরিচালকের আইনজীবী জানিয়েছেন ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে শুনানির আগে তিনি সঞ্জয়ের কথা বলবেন। আদালতের এই পরামর্শে তিনি রাজি কিনা, তা জানতে পারবেন আইনজীবী। তবে আজ জানা সব মিটে গেল।
গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন সঞ্জয় লীলা বনসালি। সিনেমার গল্পটি হুসেন জাইদির বই ‘মাফিয়া কুইন্স অফ মুম্বই’-এর একটি অধ্যায় থেকে সংগৃহীত। আলিয়া ছাড়াও এই চলচ্চিত্রে দেখা যাবে বিজয় রাজ এবং সীমা পাহওয়াকে। অজয় দেবগনকেও এই সিনেমায় একটি বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে। গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি মুক্তি পাবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি