News Desk: জয়ের ব্যবধান লক্ষাধিক। তবে এই বিপুল ব্যবধানের জয় পেলেও জয়ীরা স্বস্তিতে থাকেননা। অভিযোগ ওঠে রিগিংয়ের। উপনির্বাচনে দিনহাটা ও গোসাবা কেন্দ্রে তৃ়ণমূল কংগ্রেসের লক্ষাধিক ভোটে জয় ফিরিয়ে আনছে বাম জমানার বিতর্কিত কেশপুর নির্বাচনের ফলাফলকে। লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হয়েছিলেন সিপিআইএমের নন্দরানি ডল।
দু দশক পর উপনির্বাচনে ফিরল নন্দরানির জয়ের পর বিতর্কিত স্মৃতি। সেবার তৃ়ণমূলের অভিযোগ ছিল, বামেরা রিগিং করে জিতেছে।
তখনও রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতা দখলের কোনও প্রশ্ন ছিল না। তবে শাসক সিপিআইএমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্ব্বী হিসেবে টিএমসি উঠে এসেছে। সেই প্রেক্ষিতে ২০০১ সালে রাজনৈতিক সংঘর্ষ কবলিত কেশপুর কেন্দ্র ছিল তীব্র আলোচিত। এই কেন্দ্রে সিপিআইএম জয়ী হয়। বিধায়ক নন্দরানি ডল ১ লক্ষ ৮ হাজার ১১২ ভোটে পরাজিত করেন তৃণমূলের রজনী দলু়ুইকে।
কেশপুর সিপিএমের শেষপুর হবে এই স্লোগান দিয়েছিলেন ততকালীন টিএমসি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বামেদের জমানা শেষ হয় ২০১১ সালে মমতার হাতেই। তৃণমূল সরকারের আমলেও বিস্তর রিগিং অভিযোগ উঠেছে।
উপনির্বাচনে কোচবিহারের দিনহাটায় উদয়ন গুহ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা কেন্দ্রে জয়ী সুব্রত মণ্ডল। উদয়ন গুহ জিতেছেন ১ লক্ষ ৬৩ হাজারের বেশি ভোটে। আর সুব্রত মন্ডল জয়ী ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৯৩ ভোটে। বর্তমান বিরোধী দল বিজেপি সরাসরি ভোট লুঠের দাবি করেছে।