নিউজ ডেস্ক, লন্ডন: করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্স ওমিক্রন (Omicron) সারা বিশ্বজুড়ে চিন্তা বাড়িয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের গলায় উদ্বেগের প্রতিফলন ঘটেছে। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের জনসন বলেছেন, করোনার ওমিক্রমন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। বর্তমানে ব্রিটেনে বেশি সংখ্যায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের খবর সামনে এসেছে। এরমধ্যে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, জনসন বলেছেন যে, কোভিড-১৯ এর নয়া প্রজাতির ব্যাপকতর প্রভাব সম্পর্কে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না। তবে প্রাথমিক যে ইঙ্গিত মিলেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ওমিক্রন ডেল্টার তুলনায় বেশি সংক্রামক। এরইমধ্যে ব্রিটেনে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে মঙ্গলবার ১০১ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। সবমিলিয়ে ব্রিটেনে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩৭।
এর আগে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ সোমবার পার্লামেন্টে বলেন, দেশে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের গোষ্ঠী পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়ানোর সূত্রপাত হয়েছে। হাউস অফ কমন্সে জাভেদ জানান যে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টে ৩৩৬ জনের সংক্রমণ সামনে এসেছে। এরমধ্যে ৭১ জন আক্রান্ত স্কটল্যান্ডে এবং ওয়েলসে ৪ জন। তিনি আরও জানান, এমন কিছু সংক্রমণ ঘটেছে, যেগুলির সঙ্গে আন্তর্জাতিক যাতায়াতের কোনও সম্পর্ক নেই। এই সংক্রমণগুলি স্থানীয়ভাবেই ঘটেছে। তাই বলা যেতে পারে, ব্রিটেনের অনেক জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফ্রিকার অন্যান্য দেশের ওপর যাতায়াত সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি এ ধরনের সিদ্ধান্তকে কঠোর, অবৈজ্ঞানিক ও ভণ্ডামি বলে মন্তব্য করেছেন।