নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র সরকারের কৃষি আইনের বিরোধিতা সহ রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাগুলির বিক্রি করার প্রতিবাদে একাধিক বিজেপি ও অবিজেপি শাসিত রাজ্যে বনধের প্রভাব পড়লেও পশ্চিমবঙ্গে তেমন ছবি নেই।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে মধ্যরাত থেকে কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতি (AIKSCC) বনধ পালন করছে।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ডাকা ভারত বনধে পশ্চিম ও উত্তর ভারতে বিক্ষিপ্ত প্রভাব শুরু৷ মহারাষ্ট্রের বড় প্রভাব। পাঞ্জাব, হরিয়ানা অবরোধ। বড় প্রভাব তামিলনাড়ুতেও। সকালেই ত্রিপুরা স্তব্ধ হয়ে যায়। বাম শাসিত রাজ্য কেরল স্তব্ধ। বিহার, ওডিশায় প্রভাব পড়েছে।
এদিকে বনধের ইস্যু সমর্থন করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বনধ পালনের বিরোধিতা করবে তৃণমূল কংগ্রেস, সেটি আগেই জানানো হয়। সরকারি কর্মীদের হাজিরায় কড়াকড়ি করা হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গে বনধ সফল হবে না। তৃণমূলের দাবি। তবে রাস্তায় বিরোধী বামেরা। বনধে সমর্থন করছে কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।
বনধের বড় প্রভাব পড়েছে ব্যাংকে। ব্যাংক কর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন সরাসরি বনধে অংশ নিয়েছে। বিমা, রেল, খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের বড় অংশ বনধ করছেন। সংঘ পরিবার ও তৃণমূূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন বনধ পালন করছে না। দেশের কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি সরাসরি বনধে সামিল।
সরকারি কর্মীদের বাম সংগঠন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটি বনধকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে। কংগ্রেসও বনধকে সমর্থন করবে।
উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানার, হিমচল প্রদেশে বনধের বিরাট প্রভাব পড়েছে গ্রামাঞ্চলে। তামিলনাড়ুতে বনধ সফল, কারণ এই ডিএমকে কংগ্রেস ও বাম জোটের রাজ্য সরকার সরাসরি বনধ সমর্থন করেছে।