বছরের পর বছর ধরে রাজত্ব করা এক সুর সম্রাট। বাংলার সোনার ছেলে বাপ্পি লাহিড়ি (Bappi lahiri)। আজ তিনি না ফেরার দেশে। তাঁর এই হঠাৎ চলে যাওয়ার এখনও মেনে নিতে পারছেন না সঙ্গীতের দুনিয়া। কিন্তু সত্যিটা কঠিন হলেও, ‘বাপ্পি লাহিড়ি নেই’ এটাই সত্যি। আর এই কঠিন বাস্তবকে মেনে নিয়ে বাপ্পি-দার অস্থি গঙ্গার বুকে বিসর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিবার।
বাপি লাহিড়ীর বাবা সংগীতশিল্পী অপরেশ লাহিড়ীর অস্থি কলকাতার গঙ্গাতে ভাসানো হয়েছিল। তাই বাবার শেষ যাত্রার মতো কলকাতার গঙ্গাতেই ভাসানো হবে বাপ্পি লাহিড়ির অস্থি। জানা গিয়েছে, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই আউট্রাম ঘাটে পৌঁছে গঙ্গায় সুরকারের অস্থি ভাসাবেন তাঁর দুই সন্তান। বাপি লাহিড়ীর পরিবারের এই ইচ্ছেপূরণে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলার সীমা ছাড়িয়ে মুম্বইয়ের সঙ্গীত জগতে সাফল্যের সিঁড়ি চড়েছিলেন দুরন্ত গতিতে। তবে শুধু দেশের মাটিতে নয়, বিদেশেও সমান ভাবে ছিল বাপ্পিদার ক্রেজ। ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। আসল নাম অলকেশ লাহিড়ি। কিন্তু পরিচিত হন বাপি লাহিড়ি নামে। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। কিশোর কুমার সম্পর্কে বাপি লাহিড়ির মামা। ফলে ছোট থেকেই সাঙ্গীতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠেন বাপি লাহিড়ি। ৩ বছরে তবলায় হাতে খড়ি দিয়ে সঙ্গীত জীবনের শুরু। সেই সুরের যাত্রা ৬৯ বছরে থেমে গেল৷ প্রয়াত বাপ্পি লাহিড়ি৷ তাঁর নশ্বর শরীর না থাকলেও তাঁর সঙ্গীত থাকবে যতদিন তাঁর গানও থাকবে৷ কারণ শিল্প চিরকালীন , শিল্প কখনও থেমে থাকে না৷