টলিউড -বলিউডে দাপটের সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে রাজত্ব করা একা সুর সম্রাট৷ তাঁর হঠাৎ প্রয়াণের খবরে শোকস্তব্ধ সঙ্গীত দুনিয়া ও সঙ্গীতপ্রেমীরা। রেখে গেলেন তাঁর হাজার কম্পোজিশন যা যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে থেকে যাবে। আজ রইল ডিস্কো কিংয়ের অজানা কিছু কথা। যা না বললেই নয়।
Advertisements
- টলিউড-বলিউডের পাশাপাশি হলিউডেও বিশেষ জায়গা ছিল বাপ্পি-দার। ‘ডিজনি’-র ‘মোয়ানা’ চরিত্রের জন্য যে বিশেষ আবহসঙ্গীত আমরা শুনতে পাই, তা-ও ওঁরই সৃষ্টি।
- তাঁর আইকনিক গান জিমি জিমি আজা আজা… হলিউড ছবি ‘ইউ ডোন্ট মেস উইথ দ্য জোহানস’’-এ ব্যবহার করা হয়েছিল।
- তিনিই একমাত্র ভারতীয় মিউজিক ডিরেক্টর যিনি জোনাথন রসের লাইভ পারফরম্যান্সে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন ১৯৮৯ সালে।
- বাবা-মায়ের দেওয়া নাম অলোকেশ লাহিড়ি। ১৯৫২ সালে জন্ম জলপাইগুড়ি জেলায়। ডাক নাম ছিল বাপি। রেখেছিলেন এক আত্মীয়া। কে জানত, একদিন এই নামেই গোটা বিশ্ব কাঁপাবেন।
- মাত্র ১১ বছর বয়সে নাকি প্রথম গানের সুর দিয়েছিলেন তিনি। অসম্ভব দ্রুতগতিতে সব কিছু ধরে নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর। বাংলা ছবি দাদুতে ১৯৭২ সালে সুর দেন।
- ১৯ বছর বয়সে কলকাতা থেকে মুম্বই পাড়ি দেন বাপি লাহিড়ী। বলিউডে শুরু করেন সুরের যাত্রা। ১৯৭৩ সালে ‘ননহা শিকারি’ ছবি থেকে সুরকার হিসেবে তাঁর কেরিয়ার শুরু।
- গোটা কেরিয়ারে ৫০০টি ছবিতে পাঁচ হাজারের বেশি গানে সুর দিয়েছেন বাপি লাহিড়ী। একদিনে ৩৩টি ছবির জন্য ১৮০টি গান রেকর্ড করে ১৯৮৬ সালে গিনিশ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম তুলে নিয়েছিলেন।
- কিশোরকুমারকে মামা বলে ডাকতেন তিনি। কিশোরকুমারও অত্যন্ত স্নেহ করতেন বাপিকে। জানা যায়, কিশোরকুমারের মৃত্যুর পর একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন বাপি। আর তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর কোনও দিনও গানে সুর দেবেন না। পরে অনুরাগীদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত বদলান।
- গায়ক, সুরকারের পাশাপাশি সমাজসেবকও ছিলেন বাপি লাহিড়ী। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জাস্টিস ফর উডোসে তাঁর অবদানের জন্য বাপি লাহিড়ীকে ‘হাউজ অফ দ্য লর্ড’ সম্মানও দেওয়া হয়েছিল।
- নানারকম সোনার গয়না পরতেও ভালবাসেন বাপ্পি দা। জানা যায়, প্রত্যেক দিনই নতুন নতুন রকমের গয়না পরতেন। তাঁর গলায় শোভা পেত আটটি সোনার চেন! যা তিনি রোজ বদলে নিতেন।