তালিবানদের হয়ে যুদ্ধ করতে আফগানের পথে বাংলাদেশি জঙ্গিরা: পুলিশ কমিশনার

নিউজ ডেস্ক: তালিবানদের প্রতি আবার দরদ উথলে উঠল বাংলাদেশে ঠাঁই নেওয়া জঙ্গিদের৷ তালিবানদের হয়ে যুদ্ধে করায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান যাওয়া পথে কিছু মানুষ…

Jamaat-Hefazat leaders determined to create Taliban state in Bangladesh

নিউজ ডেস্ক: তালিবানদের প্রতি আবার দরদ উথলে উঠল বাংলাদেশে ঠাঁই নেওয়া জঙ্গিদের৷ তালিবানদের হয়ে যুদ্ধে করায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান যাওয়া পথে কিছু মানুষ ভারতে ধরা পড়েছে৷ আর কিছু হেঁটে বিভিন্নভাবে আফগানিস্তানে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে। শনিবার এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজ এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন।

Read More: ‘চলেন আফগান যাই’- বাংলাদেশে অনলাইন তালিবান আমন্ত্রণে চাঞ্চল্য

   

আগামিকাল ১৫ আগষ্ট দেশে শোক দিবসের অনুষ্ঠানস্থল ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয় দেখতে যান ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি)৷ পর্যবেক্ষণ শেষে এদিন সকালে পুলিশ কমিশনার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, অনলাইনে জঙ্গিরা কর্মী সংগ্রহ ও উদ্বুদ্ধ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তালিনের পক্ষ থেকে আফগানিস্তান যুদ্ধে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান হয়েছে। আর বাংলাদেশ থেকে কিছু মানুষ ইতিমধ্যে তালিবানদের সঙ্গে যুদ্ধে যোগদানের জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছে। তিনি আরও জানান, সাইবার ওয়ার্ল্ড ডিএমপিসহ সরকারের সব গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে।

DMP chief: Some Bangladeshis have left the country to join Taliban

Read More: ব্যাকফুটে আফগান সরকার, ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দেওয়া হল তালিবানদের

শফিকুল ইসলাম আরও জানান, ‘গত বৃহস্পতিবার জঙ্গি সংগঠনের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ সে বোমা বিশেষজ্ঞ। অনলাইনে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিত। নারায়ণগঞ্জে শক্তিশালী বোমা উদ্ধার হয়েছে৷ সেটাও তাঁর সরাসরি তত্ত্বাবধানে তৈরি করা। এএ মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশ কিছু জঙ্গি বা নাশকতাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অর্থাৎ তারা যে থেমে নেই, সেটা বলা যায়। কিন্তু পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি, যাতে বাংলাদেশে আর একটি ঘটনাও না ঘটে।’

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘যারা জঙ্গি হামলাগুলি করে, এখন যারা হামলা করার চেষ্টা করছে, তাদের প্রধান কাজই হল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারে আসা। প্রতিটা ঘটনা ঘটিয়েই তাদের আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আসতে চায়। এক্ষেত্রে ১৫ অগস্ট তাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ ১৫ অগস্টের ভেন্যুর আশপাশে না হোক, তার থেকে দুই কিলোমিটার দূরেও যদি বোমা ফাটাতে পারে, তাতেও আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ হবে। এদিক বিবেচনা করে তারা চেষ্টা করছে। কিন্তু যে গ্রুপ ডেভেলপ করে উঠছিল, সেই পুরো ট্র্যাক ধরা পড়ে গিয়েছে। পুলিশে আশঙ্কা রয়েছেই৷ কিন্তু এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করতে পুলিশ সর্তক আছে৷