তাইওয়ানকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি আমেরিকার, আগুন নিয়ে খেলা ঠিক নয় বলে হুমকি বেজিংয়ের

News Desk: তাইওয়ানকে বেজিংয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শি জিনপিং সরকার। অন্যদিকে নিজেদের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন।…

America's promise to protect Taiwan

News Desk: তাইওয়ানকে বেজিংয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শি জিনপিং সরকার। অন্যদিকে নিজেদের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আমেরিকা স্পষ্ট জানাল, তারা সর্বশক্তি দিয়ে তাইওয়ানের স্বাধীনতা রক্ষা করবে। স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকার ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বেজিং।

চিনের বিদেশমন্ত্রক সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, আমেরিকার কখনওই আগুন নিয়ে খেলা করা উচিত নয়। আমেরিকা যদি কোন একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় তবে তাদের উপযুক্ত ফল ভোগ করতে হবে। বিশ্বের শক্তিশালী দুই দেশের এভাবে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়াকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই তাইওয়ান নিয়ে মুখ খুলে ছিলেন জিনপিং। চিনের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, চিন ও তাইওয়ানের পুনর্মিলন সময়ের অপেক্ষা। তাইওয়ান চিনের অংশ। তাই আগামী দিনে এই দেশ চিনের সঙ্গে মিশে যাবে। জিনপিংয়ের ওই বক্তব্যের পর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ওয়েন স্পষ্ট বলেছিলেন, চিনের থেকে তাঁদের বিপদ বাড়ছে। কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্রের আড়াই কোটি মানুষ নিজেদের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে চান। বেজিং যদি কোনওভাবে তাইওয়ানের দখল নেয় তাহলে সেটা গণতন্ত্রের পক্ষে এক কালোদিন হিসেবে চিহ্নিত হবে। গোটা বিশ্বের মানুষ গণতন্ত্রের উপর বিশ্বাস হারাবে।

পাশাপাশি লালফৌজের আগ্রাসন ঠেকাতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে তাইওয়ান। তারা নিজেদের সেনাবাহিনীকে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করে তুলেছে। পাশাপাশি নিজেদের রক্ষা করার জন্য আমেরিকার কাছে আবেদন জানিয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই আমেরিকার পক্ষ থেকে ওই মন্তব্য করা হয়।

তাইওয়ানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সান্দ্রা আউকার্ক বলেন, তাইওয়ানকে রক্ষা করতে আমেরিকা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। আমেরিকা ও তাইওয়ানের সম্পর্ক পাথরের মত শক্ত ও মজবুত। কেউ কোনওভাবেই এই সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারবে না। তাইওয়ানের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে আমেরিকা সব ধরনের সাহায্য করবে। সান্দ্রার ওই বক্তব্য জানার পরই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চিনের বিদেশমন্ত্রক।

বেজিং পাল্টা বলেছে, আমেরিকা আগুন নিয়ে খেলছে। এটা ঠিক নয়। আগুন নিয়ে খেলতে গিয়ে তারা নিজেরাই পুড়ে মরবে। চিন ও আমেরিকার এই বাক্য যুদ্ধের প্রভাব গোটা বিশ্বের রাজনীতিতে পড়বে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পাশাপাশি তাইওয়ান প্রণালীর শান্তিও নষ্ট হতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।