নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের পঞ্জশিরে আহমেদ মাসুদের প্রতিরোধ বাহিনী এবং তালিবানদের মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। তালিবান জঙ্গিরা জোর করে পঞ্জশির দখল করতে চাইছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার তালিবান দাবি করেছে, তারা পঞ্জশিরও দখল করেছে। এর পরে পঞ্জশির প্রতিরোধ ফ্রন্ট কিছুটা দুর্বল দেখায়। রবিবার যুদ্ধে বেশ কয়েকজন শীর্ষ পঞ্জশির কমান্ডার নিহত হন।
বলা হচ্ছে, পাকিস্তানি বিমান বাহিনী পঞ্জশিরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই ড্রোন হামলায় পঞ্জশির মুখপাত্র ফাহিম দশতি নিহত হয়েছেন। ফাহিম আহমেদ মাসুদের খুব কাছের মানুষ ছিলেন। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর চালানো ড্রোন হামলায় মাসুদ পরিবারের সদস্যরাও নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে গুল হায়দার খান, মুনিব আমিরি এবং জেনারেল উডাদ। প্রকৃতপক্ষে, তালিবান দাবি করেছে, তারা পুরো আফগানিস্তান দখল করেছে।
সামানগান প্রদেশের প্রাক্তন সাংসদ জিয়া আরিয়ানজাদো বলেন, ‘পাকিস্তানি বিমান বাহিনী ড্রোনের সাহায্যে বোমা হামলা করেছে। এতে স্মার্ট বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। তালিবান এবং প্রতিরোধ বাহিনী তাদের নিজস্ব দাবী এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তালিবানরা পঞ্জশির দখল করার দাবি করলেও পঞ্জশির প্রতিরোধ ফ্রন্ট দাবি করে যে তারা বর্তমানে নিজেদের দখলে রয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে পঞ্জশির প্রদেশ ছাড়া পুরো আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আফগানিস্তানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহের বাড়িতেও হেলিকপ্টার হামলা হয়েছে। তবে সেই সময় সালেহ সেখানে ছিলেন না। সালেহকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সালেহ একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রে লিখেছেন, তালিবান পাকিস্তান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে৷ অর্থাৎ তালিবান পাকিস্তানের পুতুল৷ কিন্তু তা বেশি দিন চলবে না। তারা এখনও এলাকা দখল করে আছে, কিন্তু আমাদের অতীত আমাদের বলে, জমি দখল করে মানুষের হৃদয় জয় করা হয় না, জনগণকে জেতা যায় না৷