ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস বড় বেশীই রক্তঝরা। স্বাধীনতা দিবসের দিনটি এলেই বারবার মনে পড়ে যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যেও এমন অনেকেই আছেন যাঁদের নাম না জানলেও দেশমাতৃকার জন্য তাঁরা অনায়াসেই নিজেদের বলিদান দিয়েছেন। এবার তেমনই এক দেশপ্রেমের গল্প উঠে এল ওয়েব সিরিজের (Web Series) আকারে। ওয়েব সিরিজের নাম ‘মুক্তি’।
‘মুক্তি’-র প্রেক্ষাপট ১৯৩১ সালের সেই অস্থির সময়কে কেন্দ্র করে। যখন কারারুদ্ধ হচ্ছেন একের পর এক বিপ্লবী । তাঁদের উপর অমানবিক অত্যাচার চলছে। ভারতীয় বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতীয় পুলিশ অফিসারদেরকেই। পদোন্নতির লোভ দেখানো হচ্ছে তাঁদেরকে। সেই সময় কারাধ্যক্ষ রামকিঙ্করের সিদ্ধান্ত দেশজুড়ে সৃষ্টি করল আলোড়ন। একটি ফুটবল ম্যাচ তিনি চাইলেন। সাহেবদের বিরুদ্ধে বিপ্লবীদের ফুটবল ম্যাচ। এই ম্যাচে জিতলে হবে জেলমুক্তি।
ইংরেজদের অধীনে কাজ করলেও রামকিঙ্কর মনে-প্রাণে দেশপ্রেমিক। মেদিনীপুরের জেল সুপার হয়ে আসা রামকিঙ্করের স্ত্রী তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, স্বাধীনতা কি খারাপ নাকি যে ছেলেটা দেশের হয়ে ভাবছে সেটা দোষের! উত্তর দিতে পারবেন কি রামকিঙ্কর? সবকিছুর রূপরেখা নিয়ে 26 শে জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে আসছে ‘মুক্তি। রামকিঙ্করের চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন দিতিপ্রিয়া রায় (Dwitipriya Roy)। বিপ্লবীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন অর্জুন চক্রবর্তী। এছাড়াও এই ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন চান্দ্রেয়ী ঘোষ, চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী, সুদীপ সরকার প্রমুখ। ‘মুক্তি’ পরিচালনা করেছেন রোহন ঘোষ (Rohan Ghosh)। ফ্যাটফিশের প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘মুক্তি’।
‘মুক্তি’ নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত দিতিপ্রিয়ার কথায়, ঋত্বিক ও দেশপ্রেম যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে ওয়েব সিরিজে। কাহিনী 1931 সালের হলেও যথেষ্ট আধুনিক দিতিপ্রিয়ার চরিত্র। ফলে তাঁর হাঁটা-চলা, কথা বলায় তা ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। অর্জুন মনে করেন, 26 শে জানুয়ারি ‘মুক্তি’-র মুক্তি একদম সঠিক সিদ্ধান্ত।