প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন অভিনেতা জিতু কামাল (Jeetu Kamal)। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি । তাঁর বয়স ছিল ৮০। বুদ্ধদেব ছিলেন শেষ মার্কসবাদী মুখ্যমন্ত্রী, যিনি জ্যোতি বসুর পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এবং তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মে ২০১১ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বুধবার সকাল ৮:২০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বুদ্ধবাবুর প্রয়াণের পর, প্রিয় নেতার উদেশ্যে একটি পোস্ট করেছেন অভিনেতা জিতু কামাল। সেই পোস্টে কার্যত নিজেকে আর ‘কমরেড’ বলতে রাজি নন জিতু। তবে নিজেকে ‘পল্টিবাজ’ বলেও চিহ্নিত করতে চান না তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, তাঁর পরিচয়, তিনি একজন ‘বুদ্ধপন্থী’। জিতু পোস্টে জানিয়েছেন যে দলের থেকে কোনওদিন সুবিধা নেননি তিনি। তাই তাঁর ক্ষেত্রে, “পাল্টিবাজ, ধাপ্পাবাজ, চিটিংবাজ’ কথাগুলি মানায় না। এরসঙ্গে তিনি লেখেন তাঁকে যেন ‘কমরেড’ বলে ডাকা না হয়, আর যদি কেউ ডাকতেও চান, ষ্টার আগে যেন তাঁর অনুমতি নেওয়া হয়। তাঁর এই পোস্ট নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। তবে কী প্রিয় নেতার প্রয়াণের পরেই দল ছাড়লেন জিতু?
একই সঙ্গে নন্দিত-নিন্দিত, ব্যতিক্রমী হিসাবেই বুদ্ধদেব চিরস্মরণীয় বঙ্গ রাজনীতিতে
তাঁর পোস্টে, বুদ্ধবাবুকে তাঁর ‘পথপ্রদর্শক’, এবং ‘ঈশ্বর’ হিসেবে সম্বোধন করেছেন জিতু। প্রিয় নেতা আর বেঁচে নেই বলেই কী দলে আর থাকতে চাইছেন না জিতু? তাঁর পোস্টে রয়েছে তারই ইঙ্গিত। এদিন তাঁর পোস্টে জিতু আরো লিখেছেন, “হিড়িক পড়েছে ছবি দিয়ে ব্যতিক্রমী পোস্ট করার, হিড়িক পড়েছে শ্রদ্ধার ঝুলি খুলে দিয়ে রাজপথে ফুল ঝরানোর, হিড়িক পড়েছে ওর সঙ্গে জড়িত সমস্ত সুখ স্মৃতি উজাড় করার, হিড়িক পড়েছে কমরেড বলে একে-অপরকে সম্বোধন জানানোর।”
সকালেও বুদ্ধদেববাবু প্রাতঃরাশ করেছিলেন। তার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই তিনি প্রয়াত হন বলে খবর। সূত্রের খবর, মাঝে কিছুটা সময়ে তিনি স্থিতিশীল ছিলেন। তবে গতকাল বুধবার রাত থেকে জ্বরটা বাড়তে থাকে বুদ্ধদেববাবুর। এরপর আজ বৃহস্পতিবার আচমকা সকাল থেকে বুদ্ধদেববাবুর জ্বরটা বেড়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। জানা যাচ্ছে যে কয়েকদিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ । এদিন সকাল থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। অক্সিজেন দেওয়া হলেও তাঁর প্রাণরক্ষা করা যায়নি।