Abhishek Chatterjee: দুই ‘সুজন’ নেই, সখীরা একলা

একই ছবি ‘সুজন সখী’ ভিন্ন ভিন্ন অভিনেতা অভিনেত্রীকে নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাঙালিকে বেঁধে রেখেছে। ছবিতে থাকলেন তাঁরা। ঢাকাইয়া সিনেমা হোক বা টলিদুনিয়া দুই বাংলার…

একই ছবি ‘সুজন সখী’ ভিন্ন ভিন্ন অভিনেতা অভিনেত্রীকে নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাঙালিকে বেঁধে রেখেছে। ছবিতে থাকলেন তাঁরা। ঢাকাইয়া সিনেমা হোক বা টলিদুনিয়া দুই বাংলার দুই ‘সুজন’ নেই। এপার ওপারের সখীরা একলা। কলকাতায় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত। টলিউডের ‘সুজন’ অতীত।

‘সুজন সখী’ এমন এক ছবি যার গান গল্প এখনও গ্রামীণ জীবনে ঘোরাফেরা করে। সিনেমা হল থেকে রেডিও, টেপ রেকর্ডার হয়ে মোবাইল কারো কারো সংগ্রহে বেজে ওঠে ‘সব সখী রে পার করিতে… তোমার বেলায় নেব সখী তোমার কানের সোনা…’

‘সুজন সখী’ এই চলচ্চিত্র বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে তুমুল আলোড়ন ফেলেছিল সেই সত্তর দশক থেকেই। ১৯৭৫ রাজনৈতিক ঘূর্ণিপাকে পড়ে থাকা বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সামরিক অভ্যুত্থানে খুনের পর থেকে শুরু হয়েছিল ভয়াবহ পরিস্থিতি। ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র। আর পশ্চিমবঙ্গ রক্তাক্ত রাজনৈতিক পরিসীমা থেকে অল্প বেরিয়ে এসে জরুরি অবস্থার প্রতিবাদে আরও বড় আন্দোলনের দিকে চলেছে।

পঁচাত্তরের এই অগ্লিগর্ভ সময়ে গ্রামীণ জনজীবনে এক চিলতে সুবাতাস আনা বাংলাদেশের সুর-সঙ্গীত দিয়েছিল স্বস্তি। সেদেশে মুক্তি পায় ‘সুজন সখী’। ঢাকাইয়া ছবির কিংবদন্তি কবরী ও ফারুকের অভিনীত এই ছবির সবথেকে জনপ্রিয় গান ‘সব সখীরে পার…’ দুই বাংলাকে মায়ার আবেশে জড়িয়ে নেয়। গায়িকা কিংবদন্তি শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও আব্দুল আলীম।

বাংলাদেশকে আলোড়িত করে অচিরেই সেই গান ঢুকে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে রেডিওর অনুরোধের আসর থেকে ছড়ায় পশ্চিবঙ্গে।

১৯৯৪ সালে সুজন সখী পুনরায় নির্মিত হয় বাংলাদেশে। এবার অভিনয় করেন সালমান শাহ ও শাবনূর। ছবির গল্প ও গান একই। ফের সুপার হিট হয় এই ছবি। বাংলাদেশের সালমান প্রয়াত হন ১৯৯৬ সালে।

নব্বই দশক। তখন টলিউডের তিন মূর্তি তাপস পাল, প্রসেনজিৎ ও অভিষেকের দাপট। তিন জনের বাণিজ্যিক ছবি গ্রামীণ বাংলায় তীব্র আকর্ষণের বিষয় ছিল। এই নব্বই দশকেই পরিচালক স্বপন সাহা বাংলাদেশের ছবি সুজন সখী পশ্চিমবঙ্গে চলচ্চিত্রায়ণ করেন। যথারীতি সুপার হিট। অভিষেক ও ঋতুপর্ণা অভিনয় করেন। গান সেই এক।