একবার আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay)। দেখা হয়েছিল মহম্মদ হুসেইন সারহানের সঙ্গে। আলাপ পরিচয় হয় দুই দেশের সঙ্গীত সাধকের মধ্যে। আফগানি লোকসঙ্গীতের বেশ মুগ্ধ হয়েছিলেন সন্ধ্যা। বাংলার সুরের সঙ্গে অচিরেই মিশেছিল কাবুলি ছন্দ। বেজেছিল রাবাব।
ওস্তাদজির থেকে কয়েকটি গান শিখে নিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ফার্সি ঘরানার গান। মহম্মদ হুসেইন সারহান ছিলেন পাতিয়ালা ঘরানার শিল্পী। তাঁর কাছ থেকে শেখা গানের সুর সন্ধ্যা পরবর্তীকালে কাজে লাগিয়েছিলেন নিজের একটি গানে, “আমি তোর ছলনায় ভুলবো না, কাজে নেই আর আমার ভালোবেসে…।”
১৯৭৫ সালে সন্ধ্যার গলায় প্রকাশ পেয়েছিল চারটি গান। সবকটি গানের ৪৫ আরপিএম – এর রেকর্ডে বেড়িয়েছিল চারটি গান। যার মধ্যে একটি ‘আমি তার ছলনায় ভুলবো না ‘। চারটি গানই লিখেছিলেন শ্যামল গুপ্ত।
ঢাকুরিয়ার বাড়িতে প্রথম দেখা হয়েছিল দুজনের। সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসেছিলেন শ্যামল গুপ্ত। এর আগে শ্যামল গুপ্তর লেখায় গান গেয়েছিলেন সন্ধ্যা। কিন্তু চেনা-জানা ছিল না সে ভাবে। ঢাকুরিয়ার বাড়িতে সেবারই প্রথম আলাপ বলা চলে।
একটি গান নিয়ে চলছিল আলোচনা। সুর দিয়েছিলেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায়। কথা বসিয়েছিলেন শ্যামল গুপ্ত। গান গাইতে রাজি হলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। জনপ্রিয় হল গান । শ্যামল গুপ্তর লেখায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ে প্রথম বেস রেকর্ডের গান- স্বপ্ন ভরা অন্ধকারে মোর গানের এই বিনা তারে।