করোনার সময় থেকে বেসরকারি খাতে ছাঁটাইয়ের (Job Layoffs) যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তা কমার নামই নিচ্ছে না। বরং কোম্পানি থেকে কর্মচারীদের অপসারণের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোতে ছাঁটাইয়ের বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই নামী-দামী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রস কাটিং-এর নামে তাদের কর্মীদের চাকরিচ্যুত করছে। এতে দেশি-বিদেশি কোম্পানির নামও রয়েছে।
বিশেষ বিষয় হল ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং গুগল সহ অনেক ব্র্যান্ডেড আন্তর্জাতিক কোম্পানি তাদের হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। এমন পরিস্থিতিতে এসব কর্মচারীদের সামনে জীবিকার সংকট দেখা দিয়েছে। বড় কথা এই সব কোম্পানি ক্রস কাটিং এর নামে তাদের কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করেছে। বিজনেস টুডে অনুসারে, ২০২৩ সালে এখনও পর্যন্ত, প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ছাঁটাইয়ের নামে ২.২৬ লক্ষেরও বেশি কর্মীকে চাকরি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে।
৭ মাসে রেকর্ড ভাঙল
গত বছর, প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ছাঁটাইয়ের একটি নতুন রেকর্ড করেছে। এরপর কোম্পানিগুলো প্রায় দুই লাখ মানুষকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল। অল্ট ইনডেক্স অনুসারে, ২০২২ সালে, বিশ্বের সমস্ত প্রযুক্তি সংস্থাগুলি এক বছরে ২.০২ লক্ষ কর্মীকে বরখাস্ত করেছিল। যেখানে, এমনকি ২০২৩ সালে, প্রযুক্তি সংস্থাগুলি প্রচুর ছাঁটাই করেছে। এমনকি মাত্র ৭ মাসে, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে গত বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলি জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত ২.২৬ লক্ষ কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে। অথচ চলতি বছর শেষ হতে এখনো ৪ মাস বাকি। এমতাবস্থায় এই সংখ্যাও তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তাই শ্রমিকদের ছাঁটাই করতে হয়েছে
ছাঁটাইয়ের মধ্যে রয়েছে গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা এবং অ্যামাজন। তবে কোম্পানিগুলো বলছে, রেকর্ড ভাঙা মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ চেইনে হ্রাস এবং পণ্য বিক্রি কমে যাওয়ায় ছাঁটাই করতে হচ্ছে। কোম্পানিগুলোর কথা যদি বিশ্বাস করা হয়, মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের অর্থনীতি মন্থর হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সেবা ও পণ্যের বিক্রি ও সরবরাহে। এতে আর্থিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় চাকরিচ্যুত হতে হয় কর্মচারীদের।
২০২১ সাল থেকে ছাঁটাই চলছে
জানিয়ে রাখি, করোনার পর গোটা বিশ্বে মন্দা শুরু হয়েছিল। এর প্রভাব পড়েছে কোম্পানিগুলোর আয়েও। এমতাবস্থায়, প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ২০২১ সাল থেকে ক্রস কাটিংয়ের নামে ছাঁটাই শুরু করেছিল, যা এখনও চলছে।