Porimani: ‘এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি এই প্রথম দিচ্ছি। বিষয়টা ব্যক্তিগত হলেও সকলের জানা দরকার। কোনও ভুল করুণা নিয়ে আমি বা আমার ছেলে বাঁচতে চাই না। যে বাচ্চাকে দেখবে না, অথচ বলে বেড়াবে, “বাচ্চা আমার”, তাকে আমি ছাড়ব না। যারা মা তারা বুঝতে পারবে, কোন জায়গা থেকে আমি এই কথা বলছি। এ পর্যন্ত বাচ্চার বাবা আমার বাচ্চার একটাও খোঁজখবর নেয়নি।’ এক সাক্ষাৎকারে বসে স্পষ্ট জবাব অভিনেত্রী পরীমনির।
আসলে আগাগোড়াই স্পষ্ট কথা বলে ভালো থাকেন পরী। মুখের উপর যোগ্য জবাবটি দিতে কখনওই পিছপা হননি। এদিনও তাই করলেন। নায়িকা বললেন, তাঁর বাচ্চার খোঁজ নেওয়ার দরকার নেই স্বামীর। তাঁর বাচ্চার সব দায়িত্ব প্রথম থেকে তিনিই নিয়েছেন। আর এখন তাঁর প্রাক্তন স্বামীর নামের সঙ্গে রাগ, ক্ষোভ, অভিমান জমে গিয়েছে। ভালবাসা, সম্মান শেষ। নায়িকার কথায়, যে মানুষ আমার বাচ্চার বাবা, তাকে অসম্মান করব না। কিন্তু যতটুকু অসম্মান তার প্রাপ্তি, সেটুকু আমিই করব, সেটুকু থেকে তাকে বাঁচাতে পারবে না কেউ।’
টলিউডের শ্রাবন্তী, আর বাংলাদেশের পরীমনি। বিতর্কের বেড়াজালে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে না! উত্তরে নায়িকা জানিয়েছেন, প্রচুর মানুষের ভালবাসা পেয়েছেন। একজন জেলফেরত অভিনেত্রীকে যে ভাবে মানুষ ভালবাসা দিয়েছে, তা সচরাচর কেউ পায় না। নায়িকার কথায় আরও শোনা গেল, ‘যখন জেল থেকে বেরোচ্ছি, আমার দর্শকরা চিৎকার করে বলছে, “তোমায় কেউ গুলি করুক, আমরা সামনে দাঁড়িয়ে যাব।’’ আমি কাজ না করলে তারা এত ভালবাসত না।’