পণপ্রথার গুণগান গাওয়া বই বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ

নার্সদের পাঠ্যক্রমে সমাজবিদ্যার বইয়ের একটি অধ্যায়ে পণপ্রথার সুফল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল পণপ্রথা কোন সামাজিক অপরাধ নয়, বরং পণপ্রথার কারণেই কুৎসিত দেখতে…

Nursing textbook that listed ‘merits of dowry’ to be withdrawn after row

নার্সদের পাঠ্যক্রমে সমাজবিদ্যার বইয়ের একটি অধ্যায়ে পণপ্রথার সুফল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল পণপ্রথা কোন সামাজিক অপরাধ নয়, বরং পণপ্রথার কারণেই কুৎসিত দেখতে মেয়েদের সহজেই বিয়ে হয়ে যায়। নতুন সংসার গোছানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক পণপ্রথা। কিন্তু এই অধ্যায়টি নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দেয়। প্রবল চাপের মুখে পড়ে সংশ্লিষ্ট প্রকাশনা সংস্থা বইটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করল।

এই বইয়ের লেখিকার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে মহিলা কমিশন। দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতী মালিওয়াল অবিলম্বে এই বইটির লেখিকা টিকে ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন।

জেপি ব্রাদার্স মেডিক্যাল পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি প্রকাশনা সংস্থা বইটি প্রকাশ করেছিল। সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাঁচ দশক ধরে তারা চিকিৎসা বিষয়ক নানা ধরনের বই প্রকাশ করে আসছে। অভিজ্ঞতা থেকে তারা এই অভিযোগের গুরুত্ব বুঝতে পারছে। সেকারণেই তারা অবিলম্বে বাজার থেকে এই বইটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মহিলা কমিশন দেশের শিক্ষা মন্ত্রীকে বলেছে, যে ভাবে এই বইয়ে পণপ্রথার গুনোগান করা হয়েছে তা আজকের দিনে অত্যন্ত লজ্জাজনক ও নিন্দনীয়। অবিলম্বে লেখিকার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমাদের দেশে পণপ্রথার মত কুপ্রথার অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নিরন্তর লড়াই চলছে। পণ প্রথা রোধ করতে সরকারও অনেক আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। তার পরেও কিভাবে একটি বইয়ের পাঠ্যক্রমে এমন কথা ছাপানো হল তা বুঝতে পারছেন না কেউই।