কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে৷ যার ফলে ইয়েল, অক্সফোর্ড এবং স্ট্যানফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে (foreign universities) ভারতে তাদের ক্যাম্পাস খোলার এবং ডিগ্রি প্রদানের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এর মাধ্যমে বিদেশে যেতে অক্ষম শিক্ষার্থীরা দেশে থাকার এবং বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও সুযোগ বাড়বে ভারতে। এছাড়াও, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভারতে আসা অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের জন্যও একটি পছন্দ হিসাবে আবির্ভূত হতে পারে।
ইউজিসি খসড়া তৈরি করেছে
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বৃহস্পতিবার জনসাধারণের প্রতিক্রিয়ার জন্য একটি খসড়া পেশ করেছে যা প্রথমবারের মতো দেশে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের ভর্তি ও পরিচালনার সুবিধার্থে চায়। খসড়া অনুযায়ী, দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির মানদণ্ড, ফি কাঠামো এবং বৃত্তির বিষয়ে স্থানীয় ক্যাম্পাস সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বায়ত্তশাসন থাকবে।
ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সাশ্রয়ী মূল্যে বিদেশী যোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সাশ্রয়ী মূল্যে বৈদেশিক যোগ্যতা অর্জন করতে এবং ভারতকে একটি আকর্ষণীয় বৈশ্বিক অধ্যয়নের গন্তব্যে পরিণত করতে সক্ষম করার জন্য দেশের উচ্চ নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ক্ষেত্রের পরিবর্তনের জন্য জোর দিচ্ছে৷ এই পদক্ষেপটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলিকে দেশের তরুণ জনসংখ্যাকে আকৃষ্ট করতে সহায়তা করবে।
অনেক ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বৈশ্বিক র্যা ঙ্কিংয়ে পিছিয়ে আছে
এমনকি ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলি মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন থেকে অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেড পর্যন্ত প্রোগ্রামগুলি হোস্ট করা শুরু করেছে। আজ পর্যন্ত কোম্পানিগুলোকে সিইও দেওয়া হয়েছে কিন্তু অনেকেই বৈশ্বিক র্যা ঙ্কিংয়ে খারাপ করে। দেশটিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে এবং কলেজ পাঠ্যক্রম এবং বাজারের চাহিদার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবধান পূরণ করতে তার শিক্ষা খাতকে উত্সাহিত করতে হবে। এটি বর্তমানে ২০২২ গ্লোবাল ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস সূচকে ১৩৩টি দেশের মধ্যে ১০১ তম স্থানে রয়েছে, যা একটি দেশের প্রতিভা বিকাশ, আকর্ষণ এবং ধরে রাখার ক্ষমতা পরিমাপ করে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব স্থাপন করেছে, যা ছাত্রদের আংশিকভাবে ভারতে অধ্যয়ন করতে এবং বিদেশের মূল ক্যাম্পাসে তাদের ডিগ্রি সম্পূর্ণ করতে দেয়। বর্তমান পদক্ষেপ এই বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় অংশীদার ছাড়াই ক্যাম্পাস স্থাপনে উৎসাহিত করবে।