Job seekers: সরকারের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা নিয়ে উৎসবের দিনে রাজপথে চাকরিপ্রার্থীরা

শিয়ালদহ থেকে মেয়ো রোড অবধি মিছিলে হাঁটেন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের বেশীরভাগ জনেরই গায়ে ছিল কালো পোশাক। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ব্যানার নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায় তাঁদের। ৭২৫ দিন ধরে কেন যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন? সেই প্রশ্নও তুলে ধরেছেন তাঁরা।

54
Job seekers

দেখতে দেখতে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ৭২৫ দিন ধরে ধর্না জারি রেখেছেন এসএলএসটি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর হবু শিক্ষকরা (Job seekers)। এরই মধ্যে সরকারের দুর্নীতির বহর দেখে চক্ষু চড়ক গাছ হয়েছে রাজ্যবাসীর। তবুও নিয়োগ নিয়ে এখনও সুদিনের আশায় রয়েছেন তাঁরা। উৎসবের দিনে আরও একবার রাজপথে চাকরিপ্রার্থীরা। কালো পোশাকে সরকারকে বার্তা দিলেন তাঁরা।

এদিন শিয়ালদহ থেকে মেয়ো রোড অবধি মিছিলে হাঁটেন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের বেশীরভাগ জনেরই গায়ে ছিল কালো পোশাক। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ব্যানার নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায় তাঁদের। ৭২৫ দিন ধরে কেন যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন? সেই প্রশ্নও তুলে ধরেছেন তাঁরা।

একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, সাদা খাতা জমা দিয়ে যারা চাকরি পেল, যারা নম্বর কারচুপি করে চাকরি পেল, তাঁদের জায়গায় কেন যোগ্যদের নিয়োগ করা হচ্ছে না? যদিও এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগেও বারবার চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য ছিল, দীর্ঘ সময় ধরে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। কখনও তাঁর বলেছেন সাদা খাতা জমা চাকরির কথা, আবার কখনও বলেছেন মেধাতালিকায় পিছনে নাম থাকার পরেও নিয়োগের কথা। এখন আদালতে সবটাই প্রমাণিত হয়েছে। হাজার হাজার অযোগ্যদের চাকরি গেছে। এবার সরকার যোগ্যদের নিয়োগ নিয়ে পদক্ষেপ নিক।

এর আগে অবশ্য চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কতাহ বলে নিয়োগের বিষয়ে আশ্বাস দিতে ময়দানে নেমেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার সরকারের তরফেও নিয়োগ নিয়ে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যেভাবে বেনিয়ম হয়েছে, তাতে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।