এ যেন সফটওয়্যার টেকনোলজি আপডেট! একের পর এক ভ্যারিয়েন্ট (Covid 19)আসছে -আপডেট হতে থাকছে। কখনও মারণ তো কখনও মৃদু সংক্রমণ রূপে। বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন আর কত ধরণের করোনা ভ্যারিয়েন্ট আসবে? ঠিক এইখানেই তৈরি হচ্ছে সমান্তরাল বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তিবাদ। উঠে আসছে এমন কিছু তত্ত্ব ও তথ্য যা থেকে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, বিশ্বজোড়া জীবাণু ভীতি তৈরি করার একটি চক্রাম্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় আতঙ্ক ও ভয় এমন দ্রুত ছড়াচ্ছে, যার গতি করোনাভাইরাস সংক্রমণকেও লজ্জা দেবে।
সাধারণ মানুষকে আতঙ্কে রাখার অভিযোগ তুলে যে যুক্তি উঠে এসেছে তা রীতিমতো চমকপ্রদ। বিভিন্ন দেশের চিকিৎসা গবেষক, জীবাণু গবেষকরা কর্পোরেট- বহুজাতিক সংস্থার প্রচার বিরোধী অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, মানুষকে ঘরবন্দি করে মৃত্যু আশঙ্কা এমন করে তুলে ধরা হচ্ছে যাতে সাধারণ বোধবুদ্ধি লোপ পায়।
তথ্য হিসেবে বিভিন্ন দেশ ভিত্তিক করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ হারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন লাইন নির্ভরতা ও একলা করে দেওয়ার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ফল এসেছে উদ্বেগজনক। বিশ্লেষণ বলছে কর্পোরেট দুনিয়া টিকা বাণিজ্যকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে যে একের পর এক ভাইরাস ভ্যারিয়েন্টের নাম আসবে। তার সম্পর্কে প্রচার তুঙ্গে তোলা হবে।
ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মূল করোনাভাইরাসের ৪৬ দফা রূপান্তর হয়েছে এখনও পর্যন্ত। মহামারি বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগল ডিং জানিয়েছেন, ওমিক্রনের পর এখন করোনার নতুন ধরনগুলো একের পর এক আসতে থাকবে। তার মানে এমন নয় যে সবগুলো বিপজ্জনক। সংখ্যা বৃদ্ধি করার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে এটির বিপজ্জনক হয়ে ওঠা।
লক্ষাধিক কৃষক সমাবেশে করোনা কি ভয় পেল?
যুক্তিবাদীরা তথ্য তুলে ধরেছেন। ভারতের সাপেক্ষে তাঁদের যুক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিশাল কৃষক আন্দোলন। ভারত সরকারের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে লক্ষ লক্ষ কৃষকের জমায়েতে কতজন করোনা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন? তোলা হয়েছে এই প্রশ্ন। কৃষক আন্দোলনের বিপুল জমায়েত থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বারবার ছড়ানো হয়েছিল। তবে আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে সংক্রমণ তেমন কই বলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভারত সরকার আন্দোলনের অনড় চেহারা দেখে কৃষি আইন বাতিল করেছে।
করোনাভাইরাসের পরপর ধরণ ডেল্টা, ডেল্টা প্লাস, ওমিক্রন, ডেলমিক্রন এবং নবতম সংযোজন ইহু যেমন এসেছে, তেমনই এসেছে ভিন্ন জীবাণু ফ্লোরনা। কর্পোরেট প্রচার সমালোচক বিশেষজ্ঞরা বলছেন জীবাণু আগেও ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু জীবাণু সংক্রমণের যুযু ধরানোর খেলা শুরু হয়েছে। টিকা বিক্রি, স্যানিটাইজার বিক্রি, আনুষঙ্গিক ওষুধ ব্যবসার গতি এতে বাড়বে। বেড়েওছে। এতে আখেরে লাভ সংস্থাগুলির। আতঙ্ক ছড়ানোর এই ব্যবসা জীবাণু সংক্রমণের থেকেও ভয়াবহ।