Subrata Mukherjee: যে কথা শেষ হয়নি! মমতাকে নিয়ে আত্মজীবনীতে কী লিখেছেন সুব্রত?

News Desk, Kolkata: বইটার নাম জানে না কেউ, হয়ত পারিবারিক সৌজন্যে এই আত্মজীবনী প্রকাশ হতেও পারে। আবার দিনের আলো না দেখতেও পারে। আসলে যে প্রশ্নটা…

Subrata Mukherjee

News Desk, Kolkata: বইটার নাম জানে না কেউ, হয়ত পারিবারিক সৌজন্যে এই আত্মজীবনী প্রকাশ হতেও পারে। আবার দিনের আলো না দেখতেও পারে। আসলে যে প্রশ্নটা থেকেই গেল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) প্রয়াণের পর, সেটি হলো তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘অকপটে’ কী লিখেছেন?

আরও পড়ুন: নকশাল নেতা সরোজ দত্তর ‘মার্ডার’ দেখা উত্তমকুমারকে ফোন করলেন, কে তিনি?

সুব্রত-মমতার ‘রাজনৈতিক রসায়ন’ মোড় নিয়েছিল বাম জমামার শেষ কয়েক বছরে। কংগ্রেসের একদা যুবনেত্রী মমতার ‘গাইড’ পরে মমতাকেই ‘নেত্রী’ হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। ঘনিষ্ঠরা জানেন, মমতা কংগ্রেস ত্যাগের পর তার সম্পর্কে কী ভাবতেন সুব্রতবাবু। তবে অকপটে এও স্বীকার করেছেন, মমতার ডাকে লক্ষ মানুষ জড়ো হতে পারে। আমার ডাকে কেউ আসবে না। এর থেকে প্রমাণ হয় মমতার নেতৃত্ব কতটা শক্তিশালী।
বঙ্গবাসীর কাছে কৌতুহলের আরও এক পর্ব চর্চিত ‘নারদা মামলা’র সেই বিখ্যাত ভিডিও। এ নিয়েই সোজাসাপটা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আত্মবিশ্লেষণ কীরকম সেটিও অধরা থাকল।

Subrata Mukherjee
ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সুব্রত-প্রিয়

সুব্রতবাবুর অবর্তমানে সেই লেখার ‘এডিট’ হবে না তো, এমন আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিস্ফোরক বোঝাই খাতা উল্টোলেই রাজনৈতিক বিস্ফোরণ তো হবেই এমনই ধারণা বহু ডান-বাম নেতার। সুব্রতবাবু নিজেই অকপটে বলে গিয়েছেন ‘আমি সোজাসাপটা লোক। এর জন্য অনেক ক্ষতি হয়েছে।’

আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee: হেফাজতে চারু মজুমদারে মৃত্যু, পুলিশমন্ত্রী ছিলেন সুব্রত

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের মার্কামারা ঘটনাগুলি দশকের পর দশক চর্চিত। ‘নকশাল নেতা সরোজ দত্ত মার্ডার’ হোক বা বন্দি চারু মজুমদারের মৃত্যু বিতর্ক, রয়েছে জরুরি অবস্থায় মন্ত্রী হিসেবে রবীন্দ্রনাথের কবিতা না ছাপানোর মতো সিদ্ধান্ত। পরে তা স্বীকার করেন। কিন্তু জরুরি অবস্থা জারির প্রেক্ষাপটকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেন বলেও জানিয়েছিলেন।

Subrata Mukherjee

এসবের পর আসছে টানা বাম জমানায় তৎকালীন সরকারের সঙ্গে সৌহার্দ্যমূলক ব্যবস্থা রাখার কৌশলে ‘তরমুজ’ আখ্যা পাওয়া আর বঙ্গ কংগ্রেসের অভ্যন্তরের কথা। কিছু ইঙ্গিত দি়য়ে ছিলেন আশি- নব্বই দশকে প্রদেশ কংগ্রেসের জটিল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তাঁর কলমের ডগায় এসেছে। তেমনই কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির পরের অবস্থা ও বিশ্লেষণ, ব্যক্তিগত মুহূর্ত সবই এসেছে পরপর। এক সংবাদ মাধ্যমে সুব্রতবাবুর সরাসরি জবাব ছিল, এত মালমশলা আছে যে …!

সুব্রতবাবু সোজাসাপটা থাকতে ভালোবাসেন বলেই জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন অনেক কথা সরাসরি বললে যে অনেকের বিরাগভাজন হতে হবে। তবে আমি লিখছি।

<

p style=”text-align: justify;”>কী লিখে গিয়েছেন মুনমুন সেনের এই ‘নায়ক বন্ধু’? কেউ জানে না। কেমন রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করেছেন কংগ্রেস যুবনেত্রী মমতা থেকে নিজ নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতার? অজানা। সিনিয়র ‘সুব্রতদা’ আর জুনিয়র মমতা-কে কীভাবে ডাকতেন একে অপরকে? এ নিয়েও চরম কৌতূহল রয়েছে। শুধু সবার অগোচরে থাকা আত্মজীবনীটা নীরবে বিস্ফোরণের অপেক্ষা করছে।