Agniveer: ‘বিজেপি দফতরে দারোয়ান’, জানা গেল অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ

উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ! সেনা বাহিনীর মেয়াদ শেষে বিজেপি দফতরে দারোয়ানের চাকরি পাকা! সরাসরি সেনা থেকে অবসর নিয়ে বেসরকারি এজেন্সি মাধ্যমে দারোয়ান পদে উন্নতির পথ দেখানো হয়েছে।…

Agnibir will get priority in BJP party office

উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ! সেনা বাহিনীর মেয়াদ শেষে বিজেপি দফতরে দারোয়ানের চাকরি পাকা! সরাসরি সেনা থেকে অবসর নিয়ে বেসরকারি এজেন্সি মাধ্যমে দারোয়ান পদে উন্নতির পথ দেখানো হয়েছে। অগ্নিপথ প্রকল্পের অবসরপ্রাপ্তদের (Agniveer) নিয়ে এমনই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা দিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

বিজয়বর্গীয় বলেন, বিজেপি কার্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে অগ্রাধিকার পাবেন অগ্নিবীরেরা। বিজয়বর্গীয় মন্তব্যে শুরু হয়েছে কটাক্ষ। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ছেলে খেলা করছে মোদী সরকার। কটাক্ষের সুর চড়া করে আসছে মন্তব্য, বিজেপি দফতরের দারোয়ান হওয়াই ভবিষ্যৎ।

   

কেন্দ্র সরকারের সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রকল্প অগ্নিপথ ঘিরে বিভিন্ন রাজ্যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। তীব্র ক্ষোভ। চাকরি প্রার্থী যুবদের অভিযোগ নিয়োগ হোক পূর্ণ মেয়াদে। এর মাঝে অভিযোগ উঠেছে, সংঘ পরিবার সমর্থকারী হিন্দুত্ববাদী মানসিকতার যুবকদের অগ্নিবীর হওয়ার জন্য বিশেষ প্রচার চলছে। সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেছেন, চুক্তি শেষে বিজেপি পার্টি অফিসগুলির নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে অগ্নিবীরদের।

অগ্নিপথ প্রকল্প বাতিলের প্রথম রাজনৈতিক দাবি জানায় সিপিআইএম। দলটির পলিটব্যুরোর তরফে বিবৃতি দিয়ে একথা জানানোর পর রাজনৈতিক বিতর্ক আরও বাড়ে। এর পরেই কংগ্রেস জানায় অগ্নিপথ প্রকল্প নয় পুরনো রীতিতে পূর্ণ মেয়াদের পথে হোক সেনাবহিনীর নিয়োগ।
বিতর্কের মাঝে সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম দাবি করেন, অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের জন্য সংঘ পরিবার তাদের উগ্র হিন্দুত্ববাদী আদর্শের সমর্থক পরিবারগুলিকে বিশেষ উৎসাহ দিচ্ছে। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয় অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগ নিয়ে কোনও আপোষ করা হবে না।

এই বিতর্কের মাঝে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় দেশ। সেনাবাহিনীর চুক্তিভিত্তিক চাকরি শেষে বিজেপি দফতরগুলিতে দারোয়ান পদে নিযুক্তি কেন উঠছে প্রশ্ন।

এটাই কি ভবিষ্যৎ ? অগ্নিপথ আগুনে জ্বলতে থাকা যুব সমাজ আরও বিক্ষুব্ধ হতে চলল বলেই আশঙ্কা বাড়ছে।