স্মার্টফোন দুনিয়ায় বাজেট ক্যাটেগরিতে নতুন সংযোজন হিসেবে Vivo Y19s লঞ্চ হয়েছে। যারা স্টাইলিশ ডিজাইন, নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে এক দুর্দান্ত বিকল্প। লঞ্চের পর থেকেই সকলের নজর ফোনটি ৬০০০mAh ব্যাটারির দিকে। আবার শক্তপোক্ত বিল্ড কোয়ালিটি এবং সাশ্রয়ী দাম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, এই স্মার্টফোনের বিশেষত্ব কী।
Vivo Y19s: ডিসপ্লে
Y19s-এ দেওয়া হয়েছে ৬.৭৪ ইঞ্চির IPS LCD ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট ৯০Hz। ফলে ভিডিও দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা — সবই হবে মসৃণ অভিজ্ঞতা। ডিসপ্লেটির পিক ব্রাইটনেস ৭০০ নিটস, তাই সূর্যের আলোয়ও স্ক্রিন স্পষ্টভাবে দেখা যায়। চোখের সুরক্ষার জন্য এতে TÜV Rheinland সার্টিফিকেশন রয়েছে, ফলে দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারেও চোখে ক্লান্তি আসে না।
পারফরম্যান্সের দিক থেকে এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে MediaTek Dimensity 6300 SoC, যা দৈনন্দিন কাজ যেমন ওয়েব ব্রাউজিং, ভিডিও দেখা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার—সবকিছুই মসৃণভাবে সম্পন্ন করতে পারে। এতে রয়েছে সর্বোচ্চ ৬GB LPDDR4X RAM এবং ১২৮GB eMMC 5.1 স্টোরেজ, যা বাজেট সেগমেন্টে যথেষ্ট ভালো কনফিগারেশন। এছাড়া ফোনে রয়েছে ২TB পর্যন্ত মাইক্রোএসডি কার্ড সাপোর্ট, ফলে বড় ফাইল বা মিডিয়া সংরক্ষণ করাও সহজ।
ক্যামেরা ও ব্যাটারি
ফটোগ্রাফির জন্য পিছনে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা, আর সামনে সেলফির জন্য দেওয়া হয়েছে ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। ক্যামেরার মান দৈনন্দিন ছবি তোলা ও সোশ্যাল মিডিয়া আপলোডের জন্য যথেষ্ট ভালো। বিশেষ বিষয় হলো, ফোনে রয়েছে AI Eraser ফিচার, যার মাধ্যমে সহজেই ছবির অবাঞ্ছিত অংশ বা মানুষ মুছে ফেলা যায়।
Y19s-এর সবচেয়ে বড় শক্তি ৬০০০mAh ব্যাটারি, যা একদিনের বেশি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম, এমনকি আপনি যদি ৫জি নেটওয়ার্ক বা ভারি গেমিং করেন তবুও। এতে ১৫ ওয়াট চার্জিং সাপোর্ট রয়েছে। যদিও এটি খুব ফাস্ট নয়, তবুও বিশাল ব্যাটারির কারণে ঘন ঘন চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
Also Read: ৭৫০০mAh ব্যাটারি ও ৮০W ওয়্যারলেস চার্জিং সহ এল Red Magic 11 Pro
দাম ও ভ্যারিয়েন্ট
Vivo Y19s ভারতে তিনটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে —
- ৪GB + ৬৪GB: ১০,৯৯৯ টাকা
- ৪GB + ১২৮GB: ১১,৯৯৯ টাকা
- ৬GB + ১২৮GB: ১৩,৪৯৯ টাকা
সব ভ্যারিয়েন্টেই রয়েছে ডুয়েল ৫জি সিম সাপোর্ট এবং এক্সপ্যান্ডেবল স্টোরেজের সুযোগ। ফোনটি Vivo-র অফলাইন স্টোর ও রিটেল পার্টনারদের কাছ থেকে কেনা যাবে।
সবমিলিয়ে এটি এমন একটি স্মার্টফোন, যা স্টাইল, পারফরম্যান্স এবং ব্যাটারি—এই তিন ক্ষেত্রেই বাজেট রেঞ্জে অনন্য ভারসাম্য এনেছে। দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি শক্তিশালী এবং সাশ্রয়ী বিকল্প।


