ফ্লাইং ক্যামেরাযুক্ত স্মার্টফোন খুব শীঘ্রই বাজারে আসতে চলেছে 

স্মার্টফোন গুলিকে কে কত উন্নত করতে পারে সেই নিয়ে প্রতিটি বিখ্যাত কোম্পানি গুলির মধ্যে প্রতিনিয়তই চলছে প্রতিযোগিতা। তবে প্রযুক্তির দিক থেকে দেখতে গেলে সব সময়…

স্মার্টফোন গুলিকে কে কত উন্নত করতে পারে সেই নিয়ে প্রতিটি বিখ্যাত কোম্পানি গুলির মধ্যে প্রতিনিয়তই চলছে প্রতিযোগিতা। তবে প্রযুক্তির দিক থেকে দেখতে গেলে সব সময় বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো। এবারেও তারা অন্যথা নেই। প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে চীনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা ভিভো। তারা প্রথমবারের মতো বাজারে আনতে চলেছে ড্রোন ক্যামেরা বা ফ্লাইং ক্যামেরাযুক্ত স্মার্টফোন।

বর্তমান সমাজে প্রতিটি মানুষ স্মার্টফোনের ফিচার দেখে নিজেদের ফোন পছন্দ করেন। আর তার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ফিচার হচ্ছে ক্যামেরা। তাই এই প্রযুক্তিকে প্রতিদিন দ্রুততার সাথে আপডেট করা হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন তথ্য এবং ভিডিওতে পাওয়া যাচ্ছে, ভিভো ফ্লাইং ক্যামেরার স্মার্টফোন নিয়ে আসছে, যাতে ২০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকবে। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ড্রোন ক্যামেরা যুক্ত স্মার্টফোনের স্যাম্পলের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছে, যা মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

পরিকল্পনা অনুযায়ি ফোনের ভেতরেই থাকবে বিশেষ ডিট্যাচিং মেকানিজম। এটির সাহায্যে ফোনের দুটি ক্যামেরা চারটি পাখাসহ ফোনটি থেকে বিছিন্ন হয়ে উড়ে যাবে। এসময় ফোনটিকে ব্যবহার করতে হবে রিমোট কন্ট্রোলার হিসেবে। এটি ব্যবহার করে ক্যামেরা দুটিকে ড্রোনের মতো ওড়ানো যাবে। চারটি ফ্যান ছাড়াও এতে দুইটি ইনফ্রারেড সেন্সরও রয়েছে। ভিভো ড্রোন ক্যামেরা ফোনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো এটি দিয়ে 4k ভিডিও শুট করা যাবে।

এতে থাকবে ২০০ মেগা পিক্সেলের ড্রোন ক্যামেরা, ৩২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স, ১৬ মেগাপিক্সেল ওয়াইড সেন্সর এবং ৫ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর। এছাড়াও ফ্ল্যাশ লাইট সহ একটি ৬৪ মেগা পিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা থাকবে। স্মার্টফোনটিতে থাকছে ১২ জিবি RAM এবং স্টোরেজ ২৫৬/৫১২ জিবি। যা এন্ড্রয়েড টুয়েলভ অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হবে।

ফোনটিতে আছে কোয়ালকম স্ন্যাপ ড্রাগন ৮৯৮ ফাইভ জি প্রসেসের। ছয় হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারির ক্যাপাসিটি টানা ৩৬ ঘণ্টার ব্যাকআপ দেবে। এছাড়াও ব্যটারি খুব দ্রুতই চার্জ হবে। ভিভো ফ্লাইং ক্যামেরা ফোনের উল্ল্যেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এতে একটি বড় সুপার অ্যামোলেড ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, 16M কালার ডিসপ্লে, এবং কর্নিং গোরিলা গ্লাস ৭ দ্বারা সুরক্ষিত। যা ডিসপ্লেটিকে আচড়ের দাগ এবং ভেঙে যাওয়া থেকে অনেকটাই রক্ষা করবে।

বর্তমান যুগে মানুষ স্মার্টফোন যত বেশি ব্যবহার করে তার ফলে তারা ততবেশি ফিচার সম্পর্কে জানতে পারে। ফলে দিনের পর দিন স্মার্টফোনের ফিচার গুলিকে উন্নত করে মানুষের কাছে তুলে ধরাই কাজ কোম্পানিগুলোর। যে যত বেশি উন্নত ফিচারের ফোন তৈরি করতে পারবে সেটি তত বেশি বাজারে লাভ করবে। সেই ভাবেই চীনা মোবাইল ফোন সংস্থাটি এবার ফ্লাইং ক্যামেরাযুক্ত স্মার্টফোনের কথা বলেছে। যদিও যুগান্তকারী এই প্রযুক্তির সূচনা কবে হতে পারে তা নিয়ে কোন স্পষ্ট ধারণা দেননি তারা। আদৌ আসবে কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে কোম্পানিগুলি এধরনের পেটেন্ট ফাইল করলেও, ডিভাইসগুলি বাজারে ছাড়ে না।

এবার দেখার বিষয় ভিভো এ ধরনের ফোন বাস্তবে লঞ্চ করে কিনা। যদি সত্যিই করে থাকে তবে স্মার্টফোনের জগতে ভিভো যে আলোড়ন সৃষ্টি করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।