কৃত্রিম হাত! প্রতিবন্ধীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসছে AI

বর্তমানে সারা বিশ্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নজর রাখছে। এটি একটি উদীয়মান প্রযুক্তি, এবং এর প্রভাব প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা যায়। স্মার্টফোন থেকে শুরু করে রোবোটিক্স সবকিছুতেই…

বর্তমানে সারা বিশ্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নজর রাখছে। এটি একটি উদীয়মান প্রযুক্তি, এবং এর প্রভাব প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা যায়। স্মার্টফোন থেকে শুরু করে রোবোটিক্স সবকিছুতেই এআই ব্যবহার করা হচ্ছে। এআই-এর সাহায্যে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও অনেক ধরনের গবেষণা চলছে। এর মধ্যে একটি হল AI ভিত্তিক কৃত্রিম অঙ্গ, যা প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি নতুন আশা হিসাবে এসেছে। AI এর সাহায্যে গবেষকরা কৃত্রিম হাত, পা ইত্যাদি তৈরি করছেন যা প্রতিবন্ধীদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছেদাবি করা হয়েছিল যে AI এর সাহায্যে একটি কৃত্রিম হাত তৈরিতে সাফল্য পাওয়া গেছে। কৃত্রিম হাত মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে, অর্থাৎ প্রতিবন্ধীরা প্রকৃত হাতের মতো কৃত্রিম হাত ব্যবহার করতে পারবে। এতে করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা অনেক সহজ হবে। এই ভিডিওটি @power.ai অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওতে নকল হাতটির নাম দেওয়া হয়েছে এআই চালিত ‘মাইন্ড রিডিং’ কৃত্রিম হাত। তবে ভিডিওতে এটি প্রথমবার দেখা যাচ্ছে না। গত বছর ডিসেম্বরেও ইনস্টাগ্রামের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছিল।

এই ভিডিওটি দেখার পর, আশা করা যায় যে প্রতিবন্ধীরাও এআই-চালিত কৃত্রিম হাত ও পা ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন। এটি যদি বাস্তবতা হয় তবে এটি একটি বড় অলৌকিক ঘটনা হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। যাইহোক, ভিডিওটি মনোযোগ সহকারে দেখার পরে দেখা যায় যে প্রতিবন্ধী ছেলেটি তার চিবুক দিয়ে বোতাম টিপে কৃত্রিম হাতটি সক্রিয় করেছে।

কৃত্রিম হাত ও পা AI এর শক্তি দিয়ে সজ্জিত

যদি এটি একটি মাইন্ড কন্ট্রোল প্রস্থেটিক হয় তবে এটিকে কোনও টুলের মাধ্যমে মস্তিষ্কের সাথে সংযুক্ত করা উচিত ছিল, তবে ভিডিওতে এরকম কিছুই দেখা যায়নি। দেখে মনে হচ্ছে ভিডিওতে দেখানো প্রস্থেটিকটি AI নয় বরং পেশীর নড়াচড়া পড়ে নড়ে। তাই, আমরা নিশ্চিত করি না যে ভিডিওতে দেখানো কৃত্রিম পদার্থটি AI দিয়ে তৈরি, বা AI এর মাধ্যমে কাজ করে৷

AI এর উপর ভিত্তি করে কৃত্রিম অঙ্গ তৈরির জন্য সারা বিশ্বে গবেষণা চলছে। উটাহ ইউনিভার্সিটি, মিনেসোটা ইউনিভার্সিটি এবং নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির মতো আমেরিকার নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই ক্ষেত্রে ক্রমাগত গবেষণা করছে।