CV Raman: ফিরে দেখা ‘রামন এফেক্ট’ আবিষ্কারের দিন, সিভি রামন স্মরণে ‘জাতীয় বিজ্ঞান দিবস’

আমাদের জীবনে প্রতি দিনেরই কোনো না কোনো বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ঠিক যেমন ২৮ শে ফেব্রুয়ারি দিনটির রয়েছে একটি বিশেষ মাহাত্ম্য। দিনটির পিছনে একটি গৌরবময় ইতিহাস। …

national-science-day-in-memory-of-cv-raman

আমাদের জীবনে প্রতি দিনেরই কোনো না কোনো বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ঠিক যেমন ২৮ শে ফেব্রুয়ারি দিনটির রয়েছে একটি বিশেষ মাহাত্ম্য। দিনটির পিছনে একটি গৌরবময় ইতিহাস।  ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে পালন করা হয় ‘জাতীয় বিজ্ঞান দিবস’ হিসাবে।

এবার জেনে নেওয়া যাক কেন দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল ‘জাতীয় বিজ্ঞান দিবস’ হিসাবে।

জানা যায় যে, ১৯২১ সালে এক বার জাহাজে করে তিনি লন্ডন থেকে দেশে ফিরছিলেন। খেয়াল করলেন সমুদ্রের জলের রং নীল। তিনি জানতেন আকাশের রংও নীল লাগে, কারণ আকাশের বিশেষ বর্ণ ছটার জন্য। কিন্তু সমুদ্রের রং কেন নীল লাগে! সেই ভাবনা থেকেই তিনি গবেষণা শুরু করেন। আর তার ফলাফল জগৎবাসীর সামনে স্পষ্ট। সেটাই ‘রমন এফেক্ট’ নামে পরিচিত। লম্বা গবেষণার পর অবশেষে ১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি সূত্র আবিষ্কার করেন। অবশ্য ১৬ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সূত্র প্রকাশ করেন তিনি। এই সূত্রের মূল কথা হল, পদার্থের বিভিন্ন অণুপরমাণুই সেই পদার্থের বর্ণের প্রতিফলনের জন্য দায়ি, তা সে জল, মাটি, আকাশ বা যা কিছুই হোক না কেন। কোন বস্তুকে কী রঙের দেখাবে তা তার ওপরই নির্ভর করে।

ভারতের ইতিহাসে একটি গৌরবময় দিন হল ২৮ শে ফেব্রুয়ারি। নোবেল জয়ী ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন এই দিনে তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ‘রামন এফেক্ট’ আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সি ভি রামন এই পরিঘটনা আবিষ্কার করেছিলেন। এরপর ১৯৮৬ সালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা যোগাযোগ আয়োগ ভারত সরকারর কাছে ২৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করে। পরবর্তীতে সরকার এই আবেদনের অনুমোদন ও দেয় এবং সেই মত বিগত ৩৫ বছর ধরে এই দিনটিতে পালিত হয়ে আসছে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস।

প্রতিবছর জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের জন্য আলাদা আলাদা থিম নেওয়া হয়ে থাকে। এ বছরের থিম, ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাপ্রোচ ইন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফর সাসটেইনেবল ফিউচার’। পৃথিবীর জন্য একটি সংহত ভবিষ্যত তৈরির দিকে তাকিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার এবং এই দুটির মধ্যে সমন্বয় তৈরি।