বাষ্প থেকেই বিদ্যুৎ তৈরি! IIT ইন্দোরের অনন্য আবিষ্কার!

লাগবে না সূর্যালোক বা ব্যাটারি। কেবলমাত্র জল এবং হাওয়া দিয়েই তৈরি হবে বিদ্যুৎ! আইআইটি ইন্দোরের ছাত্র এবং অধ্যাপকদের নতুন আবিষ্কারে গ্রিন-এনার্জি তৈরিতে আরও একধাপ এগোল…

বাষ্প থেকেই বিদ্যুৎ তৈরি! IIT ইন্দোরের অনন্য আবিষ্কার!

লাগবে না সূর্যালোক বা ব্যাটারি। কেবলমাত্র জল এবং হাওয়া দিয়েই তৈরি হবে বিদ্যুৎ! আইআইটি ইন্দোরের ছাত্র এবং অধ্যাপকদের নতুন আবিষ্কারে গ্রিন-এনার্জি তৈরিতে আরও একধাপ এগোল ভারত। তাঁদের দীর্ঘ পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায় আগামী দিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখতে চলেছে। আইআইটি ইন্দোরের সাস্টেনেবল এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রমেন্টাল মেটেরিয়ালসের ল্যাবরেটরিতে তৈরি এই যন্ত্রটি আবহাওয়ার জলীয় বাষ্পকে তাপশক্তিতে পরিণত করতে পারবে।

প্রফেসর ধীরেন্দ্র কে রাইয়ের তত্ত্বাবধানে এবং খুশওয়ান্ত সিং-এর সহযোগিতায় গবেষণাটি সম্পন্ন হয়েছে। যন্ত্রটির মূল অংশে একটি জিঙ্ক অক্সাইড এবং গ্রাফেন অক্সাইডের সমন্বয়ে তৈরি একটি ঝিল্লি রয়েছে। জলের উপর অর্ধ-নিমজ্জিত ঝিল্লিটি জল থেকে বাষ্প তৈরিতে সহায়তা করে। এরপর অণুগুলো আলাদা হয়ে যন্ত্রটির অপরভাবে আয়ন প্রেরন করে। যার থেকে ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়।

   

মাত্র ৩x২ সেমি² আয়তনের ঝিল্লিটি প্রায় ০.৭৫ ভোল্ট পর্যন্ত তাপশক্তি উৎপন্ন করতে পারে। ঝিল্লির সংখ্যা বাড়ালেই অধিত পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। শুধু তাই নয়, কেবলমাত্র বিশুদ্ধ জলই নয়, কাদাজল বা স্যালাইন জল থেকেও যন্ত্রটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। IIT ইন্দোরের ডিরেক্টর প্রফেসর সুহাস জোশী বলেন, “এই নতুন আবিষ্কার IIT ইন্দোরের সমাজকল্যাণের সদিচ্ছারই প্রতিফলন। “IIT ইন্দোরের সমাজের জন্য কাজ করার অঙ্গীকারকেই তুলে ধরেছে এই নতুন আবিষ্কার”, বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Advertisements

আবিষ্কারক প্রফেসর রাই বলেন, “এটিকে একটি সেলফ চার্জিং পাওয়ার হাউস বলা যেতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাষ্পীভবনের প্রক্রিয়া চলবে এই যন্ত্র বিনা আওয়াজে, স্বচ্ছ এবং স্থায়ীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে থাকবে। আমাদের গবেষণার মূল উদ্দেশ্যই ছিল স্বল্প ব্যায়ে কার্যকরী বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা তৈরি করা”। বড়বড় খামার, বনাঞ্চলে টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা ভাবছে IIT ইন্দোর। সোলার প্যানেল যেখানে ব্যয় সাপেক্ষ এবং সূর্যালোক প্রয়োজন, সেখানে এই নতুন যন্ত্র অনেক অল্প খরচে মেঘলা আবহাওয়াতেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম।