সাবধান! তিন টাচেই গায়েব ১৪ লাখ! গুগল সার্চ করতেই উধাও সারাজীবনের সঞ্চয়।

কিনতে গিয়েছিলেন ফ্রিজ, কিন্তু তার জন্য বেমালুম ১৪ লাখ টাকা গচ্চা দিয়ে মাথায় হাত পড়েছে কলকাতার এক প্রবীণ নাগরিকের (Cyber Fraud)। বেহালার বসিন্দা সুজিত সেন…

কিনতে গিয়েছিলেন ফ্রিজ, কিন্তু তার জন্য বেমালুম ১৪ লাখ টাকা গচ্চা দিয়ে মাথায় হাত পড়েছে কলকাতার এক প্রবীণ নাগরিকের (Cyber Fraud)। বেহালার বসিন্দা সুজিত সেন নামের এই বৃদ্ধ মানুষটির সাথে হয়েছে এক আজব প্রতারণা। বৃদ্ধ বয়সে এত বড় আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে রীতিমতন দিশাহারা অবস্থায় পড়েছেন তিনি। গুগল সারচ করে জিনিস কিনতে গিয়ে তাঁর যে এরকম বিপদে পড়তে হবে সেটা বোধহয় তিনি দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি(Cyber Fraud)।

Top 4 Phones: ৩৫,০০০ টাকার মধ্যে দেখে নিন এই বছরের সেরা ৪ টি ফোন

   

ঘটনার সূত্রপাত একটা ফ্রিজ কেনা নিয়ে। গরমের মরশুমে নতুন ফ্রিজ কেনার জন্য খোজখবর করছিলেন সুজিতবাবু। গুগলের বিভিন্ন সাইটে গিয়ে তিনি ঘাটাঘাটি করছিলেন। একটি অনলাইন শপিং সাইটের অফার মনে ধরে তাঁর। তাপরেই শুরু বিপত্তি। সেখান থেকে একটি টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বরের খোজ পান তিনি। সেই নম্বরে বেশ কয়েকবার কল করার পর তাঁর কাছে ফোন আসে একটা অচেনা নম্বর থেকে। একটি নয়, তিন-তিনটি ব্র্যান্ডের ফ্রিজ নিয়ে কথা হয় তাঁর সাথে। তারপরেই তাঁর মোবাইল স্ক্রীনে খুলে থাকা সাইটের দু তিনটি জায়গায় ক্লিক করতে বলা হয়। সুজিতবাবুও অত কিছু না ভেবে, নির্দেশ মত কাজ করেন। আর তারপরেই ঘটে সর্বনাশ (Cyber Fraud)।

সুজিতবাবু্র নিজের বক্তব্য অনুযায়ী-“ওরা আমার কাছে ওটিপি চাইলে আমি কিছুতেই দিতাম না, সেটুকু বুদ্ধি আমার আছে। কিন্তু যে লোকটি ফোন করেছিল সে ফোনের বেশ কয়েকটা জায়গায় থাকা অপশন ক্লিক করতে বলে। যা আমি ভুলবশত অত না ভেবেই করে ফেলি। তারপর থেকে অদ্ভুত ভাবে কেন জানিনা, আমার ফোন আর কাজ করছিল না”

জিতেও শান্তি নেই! বিরাট সমস্যায় তৃণমূলের দুই বিধায়ক

আর এরপরেই ঘটে আরও অবিশ্বাস্য ঘটনা। সুজিতবাবু তাঁর ফোন সারাতে গেলে সেখানে বলা হয় সিম নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি নতুন সিম নিতে গেলে জানা যায় যে সুজিতবাবুর আঁধার কার্ডটি লক হয়ে আছে কোনও অজানা কারণে। এরপর এটিএমে-এ টাকা তুলতে গিয়ে তিনি দেখেন তার নিজেরই সেট করা এটিএম পিনও ভুল দেখাচ্ছে। পরে ব্যাঙ্কে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ১৭ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁর সবকটি ফিক্সড ডিপোজিট। সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ লাখ টাকার কাছাকাছি গায়েব হয়ে গিয়েছে সুজিতবাবুর।

নিরুপায় হয়ে থানায় গিয়েছেন সুজিতবাবু। তবে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের দাবি, বিষয়টি শুধু তাঁদেরই ভুল নয়। গাফিলতি আছে ব্যাঙ্কেরও। তাদের প্রশ্ন, সেভিংস অ্যাাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করা গেলেও, সার্টিফিকেট ছাড়া কীভাবে ফিক্সড ডিপোজিট তোলা হয়ে গেল? ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাঙ্কের অভ্যান্তরীণ নিরাপত্তায় প্রশ্ন উঠেছে (Cyber Fraud)।