চিনা স্মার্টফোন কোম্পানি Xiaomi, Oppo এবং Vivo কিছু উৎপাদন চীন থেকে ভারতে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করেছে। এটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের মেড ইন ইন্ডিয়া নীতির জন্য একটি বড় সাফল্য বলা যেতে পারে। ভারতে তৈরি স্মার্টফোন রপ্তানির পরিকল্পনাও রয়েছে এই সংস্থাগুলির৷
কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির লক্ষ্য দেশটিকে ইলেকট্রনিক্স এবং স্মার্টফোন তৈরির কেন্দ্রে পরিণত করা। এই সংস্থাগুলি চীনে তাদের কারখানা থেকে কিছু উৎপাদন ভারতে স্থানান্তর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারত থেকে পণ্য রপ্তানির পরিকল্পনা তারা চূড়ান্ত করেছে বলে জানা গেছে। এর আগে আইফোন তৈরি করা আমেরিকান কোম্পানি অ্যাপল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ভারতে উৎপাদন বাড়িয়েছে। এই সংস্থাগুলি ভারতে তৈরি ডিভাইসগুলি এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং লাতিন আমেরিকায় রপ্তানি করতে পারে।
চীনে সরকার কর্তৃক কঠোর নিয়ম এবং ভারতে উৎপাদন-সংযুক্ত প্রণোদনা (পিএলআই) তিনটি চীনা স্মার্টফোন কোম্পানির উৎপাদন ভারতে স্থানান্তরিত করার বড় কারণ। PLI স্কিমে, ভারতে তৈরি ডিভাইসের উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য প্রণোদনা দেওয়া হয়। তবে এসব কোম্পানিও কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সম্প্রতি চীনা স্মার্টফোন কোম্পানি ভিভোর প্রায় ২৭,০০০ স্মার্টফোন রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। দেশে উপস্থিত Vivo-এর উত্পাদন ইউনিট সহ এই স্মার্টফোনগুলিকে নয়াদিল্লির বিমানবন্দরে অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট দ্বারা থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ব্যক্তিরা জানান, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ডিভাইসটির মডেল ও মূল্য সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই চালানের মূল্য প্রায় $15 মিলিয়ন। তবে ভারতীয় মোবাইল কোম্পানিগুলোর একটি অ্যাসোসিয়েশন এই পদক্ষেপকে ‘একতরফা ও অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে। ইন্ডিয়ান সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পঙ্কজ মহিন্দ্রু প্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠিতে বলেছেন, “প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির এই ধরনের পদক্ষেপ দেশের ইলেকট্রনিক্স উত্পাদন এবং রপ্তানির ক্ষতি করবে।” সংস্থাটি বলেছে যে এটি ভারত থেকে রপ্তানির পরিকল্পনা পরিবর্তন করবে না। এই তিনটি চীনা স্মার্টফোন কোম্পানি জানিয়েছে যে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।