ভারতে ৫জি নেটওয়ার্ক ও পরিষেবার জন্য ৫জি স্পেকট্রাম নিলামে তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অবস্থায় টেলিকম সংস্থাগুলি এখন ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোর-জি থেকে ৫জিতে চলে যেতে পারে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, স্পেকট্রামের সবচেয়ে বড় অংশ এসেছে রিলায়েন্স জিও-র শেয়ারে। এই অবস্থায় ভারতের কোন কোন শহরে প্রথম ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হবে, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন।
দেশে ৫জি-র ভবিষ্যৎ নিয়ে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ১০ দিনের মধ্যে স্পেকট্রাম বরাদ্দের কাজ শেষ হবে এবং আগামী তিন বছরে সারা দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের উন্নত সংযোগ তৈরি হবে। একইসঙ্গে এয়ারটেলের তরফে এমনও দাবি করা হয়েছে যে, ভারতে তারাই প্রথম ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করবে।
এখন প্রশ্ন উঠছে কোন কোন শহরে প্রথমে চালু হবে ৫জি ইন্টারনেট? তথ্য উঠে এসেছে যে মেট্রো শহরগুলি থেকে ৫জি নেটওয়ার্ক পরিষেবাগুলি প্রথমে চালু করা যেতে পারে। দেশের ১৩টি শহর থেকে ৫জি পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ, গুরুগ্রাম, চণ্ডীগড়, গান্ধীনগর, হায়দরাবাদ, জামনগর, পুনে এবং লখনউ। এই অবস্থায় এই শহরগুলির মানুষ প্রথমে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের অভিজ্ঞতা পেতে পারবেন। সবগুলো পরীক্ষাই সফল হয়েছে।
বস্তুত, টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, যে স্পেকট্রাম কেনা হয়েছে, তা দেশের সমস্ত সার্কেলকে কভার করার জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারতের ৫জি কভারেজ ‘খুব ভালো’ হবে। একই সঙ্গে ৫জি পরিষেবাও সাশ্রয়ী মূল্যে চালু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনটি প্রধান সংস্থাই ৫জি-র ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিল এবং তাদের সম্ভাব্যতা প্রদর্শন করেছে।
একই সঙ্গে টাকার কথা বললে, হাইস্পিড ৫জি ইন্টারনেটের জন্য মোবাইল ব্যবহারকারীদের ৪জি-র থেকে বেশি টাকা দিতে হতে পারে। সংস্থাগুলি এই সুবিধার জন্য প্রিমিয়াম চার্জ আবেদন করতে পারে।